বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাঙা টিনের ঘরে দিন যায় সখীপুরের বৃদ্ধা ফজিলার

  • সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি   
  • ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:৪৫

থাকার কষ্ট, খাবারের কষ্ট, বর্ষা কিংবা বৃষ্টি এলেই ভাঙা চালে বৃষ্টির পানি। ৬০ বছরের বৃদ্ধা ফজিলা বেগমের জীবনের প্রতিদিনই যেন একেকটি সংগ্রাম। খাবার জোটে অন্যের দান-খয়রাতে, আর বৃষ্টি এলে ভাঙা ঘরে শোয়ার জায়গাটুকুও থাকে না।

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মৃত ওমর ফারুকের স্ত্রী ফজিলা বেগম এক যুগ আগে স্বামীহারা হন। দাম্পত্য জীবনে তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে ইফতিখার ও মেঝো ছেলে সোহেল মারা গেছেন। একমাত্র জীবিত ছেলে জুয়েলও প্রতিবন্ধী। নাতনি জান্নাতকে (১০) নিয়ে জরাজীর্ণ একটি ঘরেই চলছে ফজিলার জীবন। ফজিলা বেগম জানান, গত ২২ বছর ধরে স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র ঘরে বসবাস করছেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘরের টিনের চাল মরিচা ধরে ফুটো হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি ঠেকাতে ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে পলিথিন ও পুরোনো কম্বল। ভাঙাচোরা দরজা-জানালা ও বেড়ায় পানি ঢুকে ঘরটিকে করে তুলেছে আরও অস্বাস্থ্যকর। একই অবস্থা শৌচাগারেরও।

ফজিলা বেগম বলেন, ‘একটা থাকার মতো ঘর পেলে জীবনের শেষ বয়সে শান্তিতে মরতে পারতাম। আশপাশের মানুষ খাবার দিলে খাই, না দিলে না খেয়েই থাকি। প্রতিবন্ধী ছেলের চিকিৎসা বা নাতনিকে ভালো খাবার খাওয়ানো কোনোদিন সম্ভব হয়নি।’

তিনি জানান, মেঝো ছেলে মারা যাওয়ার পর তার রেখে যাওয়া একমাত্র কন্যা জান্নাতকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছেন। কিন্তু পড়াশোনার খরচ বা খাবারের ব্যবস্থা করতে না পারায় দিন কাটছে কষ্টে। এর মধ্যেই গত ৩১ আগস্ট রাতে তার ভাঙা ঘর থেকে চাল ও একটি মোবাইল চুরি হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন সিকদার বলেন, তার খুব অসহায় অবস্থায় দিন যাচ্ছে। ভাঙা ঘরে বৃষ্টি-বাদল ও শীতকালে ভোগান্তি বাড়ে। তার জন্য দ্রুত একটি ঘরের ব্যবস্থা করা জরুরি।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ জানান, ‘বৃদ্ধা ফজিলার ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই তার বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি ঘর নির্মাণে অর্থ সহায়তার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর