বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কীভাবে এত এত ছক্কা মারছে বাংলাদেশ?

  • ক্রীড়া ডেস্ক   
  • ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:৪৭

ছক্কা, ছক্কা আর ছক্কা…বাংলাদেশ দল এখন প্রচুর ছক্কা মারে। সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেট থেকে একটু দূরে থাকলে কথাটা শুনে একটু খটকাই লাগতে পারে যে কারও। বাংলাদেশ কি সত্যিই এত বেশি ছক্কা মারে যে তা আবার আলাদা করে বলারও মতো? হ্যাঁ, ঘটনা আসলেই তা–ই।

পরিসংখ্যান দেখুন, এ বছর টি–টোয়েন্টিতে ছক্কা মারায় টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে তৃতীয় ২২ ম্যাচে ১০৯ ছক্কা মেরেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ আর পাকিস্তান ২৫ ম্যাচ খেলে মেরেছে ১৩০টি ছক্কা।

দল হিসেবে তো বটেই, বাংলাদেশের এখনকার ব্যাটসম্যানরা ব্যক্তিগতভাবে এগিয়ে ছক্কা মারার রেকর্ডের দিক থেকেও। গত বছর বাংলাদেশ ২৪ ম্যাচে ১২২টা ছক্কা মেরেছিল—সেটিই ছিল কোনো পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো এক শর বেশি ছক্কা মারার ঘটনা। কিন্তু ওই রেকর্ড ভেঙে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপারই বলা যায়। এ বছর এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচেই ১০৯টি ছক্কা মেরেছে বাংলাদেশ। দুই বছর ধরে বাংলাদেশের এত ছক্কা মারার কারিগরদের মধ্যে দুজন তো কাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ছক্কা মারার তালিকার ওপরে ওঠা নিয়ে কাড়াকাড়িই করলেন একরকম!

এক পঞ্জিকাবর্ষে এত দিন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ছক্কা ছিল জাকের আলির। ২০২৪ সালে ১৭ ইনিংসে ২১ ছক্কা মেরেছিলেন। তাঁর রেকর্ড কাল ফল মেকেরিনের বলে ছক্কা মেরে ভেঙে দেন পারভেজ হোসেন। সেটিই ছিল তাঁর ইনিংসের একমাত্র ছক্কা, এরপর আউট হয়ে যান।

তখনো ক্রিজে তাঁর উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী তানজিদ অপরাজিত। তানজিদ ম্যাচটা শুরু করেছিলেন ২১ ছক্কা নিয়ে, তাঁকেও হাতছানি দিয়ে ডাকছিল রেকর্ড। পারভেজ আউট হওয়ার পর টানা দুই ছক্কায় তাঁকে ছাড়িয়ে যান তানজিদ। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনেও আসেন তানজিদ।

তাঁর কাছেই জানতে চাওয়া, ছক্কা মারার পরিকল্পনা নিয়েই কি মাঠে যান? তানজিদের উত্তর, ‘ও আর আমি স্বাভাবিক ব্যাটিং করি উইকেটে গেলে। উইকেট যে রকম আচরণ করে, কীভাবে উইকেট পারমিট করে, সেই অনুযায়ী কীভাবে খেলা যায়, তা ভাবি। দুজনের যোগাযোগটাও ভালো। আর ইন্টেন্টটা ভালো থাকে।’ তানজিদের সঙ্গে পারভেজের জুটিই এখন ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের ভরসা। দুজন একসঙ্গে খেলছেন অনূর্ধ্ব–১৯ পর্যায় থেকেই। এখন তাঁরা জাতীয় দলেও থিতু হয়েছেন। দুজনের মধ্যে রসায়নের কথাটা আলাদা করেও বললেন তানজিদ, ‘দুজনে কথা বলে কী করলে ভালো হয়, কীভাবে পরিকল্পনা করলে, কোন বোলারকে আমরা টার্গেট করব। এ জিনিসগুলো আমার সঙ্গে ওর ভালো কথা হয়।’

টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন আক্রমণাত্মক ক্রিকেটকে আপন করে নেওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। যেটির একটা ছাপ তো ছক্কার রেকর্ড দেখেও টের পাওয়া যায়। শরীরী ভাষা আর ক্রিকেটারদের কথাবার্তায়ও তা স্পষ্ট। এখন কি দল হিসেবে বাংলাদেশের ‘ইন্টেন্ট’ বদলে গেছে এই সংস্করণে?

তানজিদের উত্তর, ‘আমাদের পুরো দলকে একদম স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, যে যার মতো খেলতে পারবে। যার যে ভূমিকা আছে, সেটা কীভাবে মাঠে করতে পারে, এই জিনিসটা সবাইকে পরিষ্কার করা আছে দলের পক্ষ থেকে।’

এই আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে উন্নতি করতেই নিয়ে আসা হয়েছে পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডকে। ২৮ দিনের চুক্তি শেষে ৩ সেপ্টেম্বর ফিরে যাবেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে ব্যাটসম্যানরা কী শিখলেন, তা স্বাভাবিকভাবেই সবার কৌতূহলের বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তানজিদ এমনিতেই এত ছক্কা মারেন, পাওয়ার হিটিংয়ের কৌশল তাঁর জন্য কার্যকর হওয়ার কথা আরও।

এ বিভাগের আরো খবর