অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের সম্মান ও গৌরব অটুট রাখতে জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
রাজবাড়ী মিলিটারি ট্রেনিং এরিয়ার (আরএমটিএ) চর খাপুড়া ও চর রামনগর এলাকায় রোববার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ব্যবস্থাপনায় শীতকালীন ম্যানুভার অনুশীলন পরিদর্শন শেষে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির অহংকার ও বিশ্বাসের জায়গা। এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ‘প্রশিক্ষণই সর্বোত্তম কল্যাণ’ এ মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আভিযানিক দক্ষতা অর্জন করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা যুদ্ধের জন্য সেনা সদস্যদের প্রস্তুত রাখতে হবে। তাই আভিযানিক দক্ষতা, সাহসিকতা ও পেশাদারত্ব অর্জনে সেনা সদস্যদের প্রশিক্ষণ হতে হবে বাস্তবসম্মত।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণের এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলবে। অনুশীলনে অংশগ্রহণকারী সেনা সদস্যদের দক্ষতা ও উঁচুমানের প্রশিক্ষণের প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে রওনা হন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টাকে বহন করা হেলিকপ্টারটি কালুখালীর মিলিটারি ট্রেনিং এরিয়ার চর খাপুড়ায় হেলিপ্যাডে অবতরণ করে।
অনুশীলনস্থলে পৌঁছালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভ্যর্থনা জানান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এবং জিওসি, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, যশোর এরিয়া মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম।
এরপর তিনি প্রায় ১ ঘণ্টাব্যাপী ম্যানুয়েভার অনুশীলন প্রত্যক্ষ করেন। অনুশীলন প্রত্যক্ষ শেষে সমাপনী বক্তব্য দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অন্যান্য উপদেষ্টা, সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও গণ্যমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।