বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লামায় ১৭ পরিবারের বাড়ি পোড়ানোর তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ দাবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৯:৫৭

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের দুই যুগ্ম সমন্বয়কারী বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিপুরা আদিবাসীদের যথাযথ ও দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং গ্রামবাসীর ভয় ও শংকা দূর করার জন্য এলাকায় দ্রুত নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি। এছাড়া ওই ঘটনায় যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের পূর্ব তংগাঝিরি পাড়া গ্রামের ১৭ ত্রিপুরা গ্রামবাসীর বাড়িঘরে আগুন দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের দুই যুগ্ম সমন্বয়কারী মানবাধিকার কর্মী জাকির হোসেন ও অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী। তারা সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তারা বলেন, তংগাঝিরি পাড়া গ্রামে ১৯ ত্রিপুরা পরিবারের বাস। ওই গ্রামবাসী খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী এবং নিজেদের গ্রামে গির্জা না থাকায় বড়দিনের আগে পার্শ্ববর্তী গ্রামে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যান। সেই সুযোগে বড়দিনের দিনই একদল দুর্বৃত্ত রাত ১টার দিকে অগ্নিসংযোগ করে। আগুনে ১৭ পরিবারের ঘর-বাড়ি পুড়ে যায়।

দুই যুগ্ম সমন্বয়কারী উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, চার-পাঁচ বছর আগে একদল লোক নিজেদের ‘এসপির লোক’ পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক পাড়াটি উচ্ছেদ করে বাগান করে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর দখলদাররাও পাড়া ছেড়ে চলে যান এবং ওই ১৯ ত্রিপুরা পরিবার পুনরায় পাড়ায় এসে ঘর তৈরি করে বসবাস শুরু করে। পাড়াটি পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের স্ত্রীর নামে ইজারা দেয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিপুরা আদিবাসীদের যথাযথ ও দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং গ্রামবাসীর মনে ভয় ও শংকা দূর করার জন্য এলাকায় দ্রুত নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি। এছাড়া ওই ঘটনায় যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।

এ বিভাগের আরো খবর