বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য থাকলে পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার সহজে এ সংস্কারগুলো বদলাতে বা বাতিল করতে পারবে না। আমাদের জন্য সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।’
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সোমবার সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় ঐকমত্যের প্রশ্নে সংস্কার বাস্তবায়নে মৌখিক সম্মতি দিয়েছেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশের উচ্চতর বিচার বিভাগকে এমন সব ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, যা কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতায় রাখা হয়েছিল এবং তাদের কর্তৃত্ব সুসংহত করতে ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তখন অনেকে দোষী প্রমাণিত না হয়েও দীর্ঘ সময়ের জন্য আটক ছিলেন এবং জামিনের আবেদনগুলো প্রায়ই প্রত্যাখ্যান করা হতো।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশে যদি প্রতি পাঁচ বছর পরপর সুষ্ঠু নির্বাচন হতো এবং নির্বাচিত দল সরকার গঠন করত, তাহলে ক্ষমতাসীন দল বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে এতটা স্বৈরাচারী আচরণ করতে পারত না।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে উচ্চ আদালতে বিচার বিভাগীয় নিয়োগ দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তিনটি সংস্কার প্রস্তাবের ভিত্তিতে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হবে।