তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এর ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আর কোনো বাধা রইল না।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা দুটি রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ রায় দেয় আদালত।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে।
গত ৪ ডিসেম্বর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা দুটি রিটের শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেছিল আদালত।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠন এ আবেদনের সঙ্গে জড়িত। তাদের বেশির ভাগই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে ছিল।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিধান বাতিল করে দিয়েছিল।
সংশোধনীতে বেআইনিভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। একে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
সংশোধনীতে সংসদ নির্বাচনের সময়সীমাও পরিবর্তন করা হয়েছিল, যাতে বলা হয়েছে, সংসদীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে।
এর আগে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা ছিল।
পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংবিধানে ছোট ও বড় মিলে মোট ৫৫টি পরিবর্তন আনা হয়েছিল।
আজ রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলে পঞ্চদশ সংশোধনী অবৈধ। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। সংবিধানের সৌন্দর্য হচ্ছে জনগণের ক্ষমতায়ন।
এ রায়ের মধ্যদিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছিল, তার সবগুলোই বাতিল হয়ে গেল।