বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেখ হাসিনা, জয় ও টিউলিপের দুর্নীতি অনুসন্ধানে রুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ২২:২০

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান রোসাটমের কাছ থেকে পারমাণবিক চুল্লি কিনতে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বেশি আত্মসাৎ করেন। মালয়েশিয়ার ব্যাংকে রক্ষিত বিভিন্ন রাশিয়ান স্ল্যাশ ফান্ড থেকে এই অর্থ বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তরে শেখ হাসিনাকে সহায়তা করে রোসাটম। আর তাতে মধ্যস্থতা করেন সজীব ওয়াজেদ জয় ও টিউলিপ সিদ্দিক।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি ডলার (৫৯ হাজার কোটি টাকা) লোপাটে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ব্যর্থতা এবং নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। এই অভিযোগ অনুসন্ধান-তদন্তে সংস্থাটির ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেয়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ খানসহ ১৪ জন বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাহেদুল আজম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ ও শফিকুর রহমান। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী চৌধুরী নাসিমা।

আইনজীবী সাহেদুল আজম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিন মাস আগে রিট আবেদন নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার-প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করছে বলে দুদকের আইনজীবী শুনানিতে বলেছেন।’

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান-তদন্তে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ববি হাজ্জাজ। অবিলম্বে অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু এবং অনুসন্ধানে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে।

রিটে বলা হয়েছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব দুদকের।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠার পরও দুদক সেই অভিযোগ অনুসন্ধানে নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত ১৭ আগস্ট গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করে দেশের গণমাধ্যমগুলো। এই অর্থ আত্মসাতের কাজে শেখ হাসিনাকে সহায়তা করেছেন তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান রোসাটমের কাছ থেকে সোভিয়েত আমলের পারমাণবিক চুল্লি কিনতে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেন।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ ব্যয় ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার। মালয়েশিয়ার ব্যাংকে রক্ষিত বিভিন্ন রাশিয়ান স্ল্যাশ ফান্ড থেকে এই পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তরে শেখ হাসিনাকে সহায়তা করেছিল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম। তাতে মধ্যস্থতা করেন সজীব ওয়াজেদ জয় ও টিউলিপ সিদ্দিক।

অবশ্য রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর