বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আতিউর-বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১০:০৭

জনতা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ভুয়া কাগজপত্রের ভিত্তিতে এনানটেক্স গ্রুপের ২২টি প্রতিষ্ঠানকে শর্ত শিথিল করে ঋণ দেওয়া হয়। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ঋণের নামে ৫৩১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়, যা সুদ-আসলে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩০ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এসময় তিনি শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে বলেও উল্লেখ করেন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, জনতা ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারাকাত, সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর. এম. দেবনাথ, মো. আবু নাসের, মিসেস সঙ্গীতা আহমেদ এবং সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র নাথ।

এছাড়া আসামি করা হয়েছে, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, সাবেক এজিএম অজয় কুমার ঘোষ, জনতা ভবন করপোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার (শিল্পঋণ-১) মো. গোলাম আজম, ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলী (এসএমই বিভাগ) মো. শাহজাহান, এসইও মো. এমদাদুল হক, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম ফারুক ও সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুককে।

আসামি করা হয়েছে এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল ও মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনকেও।

অন্যদিকে তদন্তে আসামি হয়েছেন- জনতা ব্যাংকের ডিজিএম কে. এম. সারওয়ার রশীদ, জনতা ভবন করপোরেট শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক আহমেদ শাহনূর হোসেন, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের এমডি মো. ইফতিখার-উজ-জামান, জনতা ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. এম. আশরাফ উদ্দিন খান, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম সারোয়ার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. নওশাদ আলী চৌধুরী।

তবে মামলায় আসামি হলেও চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে আছেন- মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের পরিচালক মো. আবু তালহা, জনতা ব্যাংকের সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল জব্বার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক সহকারী পরিচালক মোছা. ইসমত আরা বেগম।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে জনতা ব্যাংক পিএলসির ভবন শাখা থেকে প্রায় ৫৩১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। যা সুদ-আসলে প্রায় ১,১৩০ কোটি ১৯ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। যদিও এজাহারে আত্মসাতের পরিমাণ ছিল ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা।

আসামিদের বিরুদ্ধে ঋণের অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জালজালিয়াতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর