‘ইসকন’ কী ধরনের সংগঠন, এই সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন আছে কি না, সংগঠনটির সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না- এসব তথ্য জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বুধবার করা এক আবেদনের শুনানিকালে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে এসব তথ্য আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
ইসকনের কার্যক্রম নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে এনে সংগঠনটির কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে আদালতে আবেদন করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন।
এ সময় আদালত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে ইসকনের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চায়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভকারীদের হামলায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হন।
এরপর মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা সাইফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই নির্মম ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন বুধবার হাইকোর্টে তুলে ধরা হয়।
ইসকন নিষিদ্ধ করা, যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারি এবং সংগঠনটির কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এ বিষয়ে আদেশ প্রার্থনা করা হয়। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যার্টনি জেনারেলকে ডেকে পাঠায় আদালত। পরে ইসকন ও সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকারের পদক্ষেপ জানাতে বলে হাইকোর্ট।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার আদালতের কাছে বিষয়টি জানাব।’
এছাড়া ইসকনের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে বিষয়টি হাইকোর্টকে জানিয়েছেন বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ওই ঘটনাটি ফৌজদারি অপরাধ। এ কারণে আইনগত ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে ইসকন নিষিদ্ধ করা হবে কি না, তাদের নিবন্ধন আছে কিনা- এসব সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।’