কক্সবাজারের উখিয়ায় নাফ নদ সীমান্ত থেকে মাছ ধরার সময় পাঁচ জেলেকে দুদিন আগে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা। শনিবার সকালে তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপর চারজনের ভাগ্যে কী ঘটেছে সে বিষয়ে এখনও কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
শনিবার রাতে পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে তার নাম ছৈয়দুল বশর। ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আঞ্জুমানপাড়ার মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।
নিখোঁজ থাকা অপর চারজন হলেন- পালংখালী ইউনিয়নের পূর্ব ফারিরিবিল এলাকার মনজুর আলমের ছেলে মোহাম্মদ ইউছুফ, নুর মোহাম্মদের ছেলে লুৎফুর রহমান, জিয়াবুল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও মুহাম্মদ আবদুল্লাহর ছেলে ইউছুফ জালাল।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গত বৃহস্পতিবার উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল এলাকায় নাফ নদে মাছ ধরতে যান পাঁচ জেলে। এ সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ একজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
উখিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফ হোছাইন জানান, সকালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল এলাকায় নাফ নদে একটি মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। মরদেহ উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উখিয়ার ইউএনও যারীন তাসনিম তাসিন জানান, নিখোঁজ থাকা অপর চারজনকে উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে বিজিবি কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সাড়া মেলেনি।