সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেনের পক্ষে ব্যারিস্টার এএসএম শাহরিয়ার কবির বৃহস্পতিবার এ রিট আবেদন করেন।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানান আইনজীবী।
রিটে চতুর্থ সংশোধনীকে বেআইনি, চরম বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ঘোষণার দাবি করা হয়েছে।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্যসচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, উপদেষ্টার একান্ত সচিব এবং আইন মন্ত্রণালয়কে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার এএসএম শাহরিয়ার কবির বলেন, চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় ব্যবস্থার পরিবর্তে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় এবং একদলীয় রাজনীতি (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ-বাকশাল) চালু করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি এ সংশোধনী আনা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, উল্লিখিত সংশোধনীটি একটি গণতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতির সরকারকে প্রতিস্থাপিত করে একদলীয় সরকার পদ্ধতি প্রবর্তন করে, যা এক ব্যক্তির রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারের ও একক দলের স্বৈরাচারী চরিত্রের ভিত্তিতে এবং উল্লিখিত সংশোধনী জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই রাতারাতি করা হয়েছিল। এতে স্বাধীন মতপ্রকাশ, সমিতি, মিছিলের মৌলিক অধিকার অস্বীকার করা হয়েছিল।
রিট আবেদনে আরও বলা হয়, সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করে গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে ব্যাহত করেছে।