বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী তিন দিনের রিমান্ডে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২১ অক্টোবর, ২০২৪ ২০:৩০

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইমরান আহমদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর আগে রোববার রাতে রাজধানীর বনানী থেকে ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

সিন্ডিকেট করে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং মানব পাচারের মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেয়।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর নাজমুল হাছান ইমরান আহমদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন।

আদালতে ইমরান আহমদের পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেয়।

এর আগে রোববার রাতে রাজধানীর বনানী থেকে ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

মামলা এজহার সূত্রে জানা গেছে, সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানব পাচারের অভিযোগে ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি করেন আফিয়া ওভারসিজের প্রোপ্রাইটর আলতাব খান। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সাবেক সংসদ সদস্য ও এম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (অব.), আহমেদ ইন্টারন্যাশনালের প্রোপ্রাইটর ও সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদ এবং ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের প্রোপ্রাইটর মো. রুহুল আমীন স্বপনসহ ১০৩ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, জনশক্তি রপ্তানিতে দুই হাজারের বেশি রিক্রুটিং এজেন্ট থাকলেও মামলার আসামিরা মাফিয়া সিন্ডিকেট গড়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে সংবিধানের মূলনীতি পরিপন্থি অপরাধ করেছেন। মামলার আসামি ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন সরকারি চাকরিরত অবস্থায় নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছেলেকে সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

আর সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ তার পরিবারের সদস্য অর্থাৎ তার স্ত্রী ও বড় ভাইয়ের ছেলেকে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রবাসী নামক অ্যাপস চালুর অনুমোদন দিয়ে চক্রকে সহযোগিতা করেছেন।

বাদী আরও উল্লেখ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তার সরলতার সুযোগ নিয়ে ভয়ভীতি ও বলপ্রয়োগ করে মানব পাচারের উদ্দেশ্যে তার কাছ থেকে জোর করে অতিরিক্ত চাঁদা হিসেবে প্রত্যেকের দেড় লাখ টাকা হারে ৮৪১ জনের ১২ কোটি ৫৬ লাখ এক হাজার টাকা আদায় করেছেন।

এ ছাড়া তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে অন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে আত্মসাৎ করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর