উত্তরাঞ্চলে দুই জেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় শিশুসহ পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে
ঠাকুরগাঁওয়ে তিনজন ও কুড়িগ্রামে দুজন মারা যান। এ সময় আহত হয়েছেন ৯ জন। মারা গেছে গবাদি পশুও। বজ্রপাতে বৈদ্যুতিক মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু স্থানে।
মঙ্গলবার বিকেলে তীব্র তাপদাহের পর বৃষ্টি শুরু হলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় তিনজন মারা যান। আহত হন নারী-শিশুহ নয়জন।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার শুকানপুকুরী ইউনিয়নের লাউথুতি গ্রামের দুলাল উদ্দীনের ছেলে আরিফুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামের ছেলে মুনির ইসলাম এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের হরিনমারি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান।
ঠাকুরগাঁও ভুল্লি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন ও ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. রকিবুল আলম চয়ন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন- আমজানখোর ইউনিয়নের সাত বছর বয়সী রুমান, ১৩ বছর বয়সী রানা ও ১০ বছর বয়সী সাকিবুল; ফুলতলা গ্রামের ৮ বছর বয়সী ফয়সাল ও উদয়পুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম। তারা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এছাড়াও সদর উপজেলায় আরও চারজন বজ্রপাতে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের আরএমও রকিবুল আলম চয়ন বলেন, ‘বজ্রপাতে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যো একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। আহত তিনজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
এদিকে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় বজ্রপাতে কাজলী আক্তার ও জামাল উদ্দিন নামে দু’জন মার গেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে দিকে ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত সাহেবের আলগা ইউনিয়নে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে বৃষ্টি আসার আগে ওই ইউনিয়নের হকের চরের আব্দুল কাদেরের মেয়ে ১০ বছর বয়সী কাজলী আক্তার চর থেকে গরু আনতে যায়। এ সময় বজ্রপাতে কাজলী ও গরুটি মারা যায়।
এছাড়াও একই ইউনিয়নের চর জাহাজের আলগা চরের ওমেদ আলীর ছেলে জামাল উদ্দিন গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে মারা যান।
সাহেবের আলগা ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন এ খবরের সতত্যা নিশ্চিত করেছেন।