বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন থেকে পঞ্চগড়গামী আন্তঃনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগির ছাদে উঠে পড়ে একটি সাপ। আর তা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তাৎক্ষণিক সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণসহ ট্রেনের স্টাফকে অবগত করেন তারা।
জানা গেছে, বুধবার সকাল ১১টায় সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে আসে আন্তঃনগর ট্রেন দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস। এ সময় কিসমত স্টেশন পার হলে ট্রেনের একটি বগির ছাদে সাপটির উপস্থিতি দেখতে পান যাত্রীরা। তাৎক্ষণিক তারা ট্রেনে দায়িত্বরতদের অবগত করেন। ট্রেনটি রাত ১১টার সময় পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছলে রাতেই ট্রেনের স্টাফসহ স্টেশন সংশ্লিষ্টরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তবে তারা সাপটির উপস্থিতি পাননি।
ট্রেনটি বুধবার রাতে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছলে সাপের খবর শুনে মানুষ ভিড় জমায়। ছবি: নিউজবাংলা
ঠিক কোথা থেকে ট্রেনের ছাদে সাপটি উঠে পড়ে তা স্পষ্ট নয় কর্তৃপক্ষের। ধারণা করা হচ্ছে, যাত্রাপথে কোনোভাবে ছাদে উঠে পড়লেও পুনরায় কোথাও নেমে গেছে সাপটি।
বুধবার রাতে ট্রেনের ছাদে সাপ উঠে পড়ার একটি ভিডিও এই প্রতিবেদকের হাতে পৌঁছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে তা দেখতে স্টেশন প্লাটফর্মে মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
স্টেশনে কথা হয় আমিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা সাপের কথা শুনে ছুটে আসি। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেখতে পাইনি। অনেকে আবার বলছে তারা মোবাইলে সাপটির ভিডিও দেখেছে। সাপটি রাসেলস ভাইপার হতে পারে।’
হামিদার রহমান ও আনোয়ারুল নামে দুই ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা মোবাইলে সাপটি আসার ভিডিও দেখেছি। তা দেখে কখনও মনে হচ্ছে রাসেলস ভাইপার আবার কখনও মনে হচ্ছে গোখরো। তবে সাপটি ট্রেন থেকে নেমে না গেলে কোনো অঘটন ঘটে যেতে পারে।’
স্টেশন মাস্টার নিরঞ্জন রায় ট্রেনে সাপ উঠে পড়ার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপটি দেখতে পেয়ে যাত্রীদের কেউ ভিডিও করে আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে এটি গোখরো সাপ। এর মাঝে ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছলে আমরা তল্লাশি চালাই। তবে সাপটির দেখা মেলেনি।’