বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘জীব‌নে আর ভোট দি‌তে পা‌রি কি না জা‌নি না’

  • প্রতি‌নি‌ধি, পটুয়াখালী   
  • ৯ জুন, ২০২৪ ১২:১২

গরমের মধ্যে আংগা‌রিয়া মাধ‌্যমিক বিদ‌্যালয় কে‌ন্দ্রে সকাল সা‌ড়ে ১০টার দিকে ভোট দেন এরফান। যে স্কুলটিতে তিনি ভোট দিয়েছেন, সেটি নির্মাণের সময় রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেছেন এ ব্যক্তি। স্কু‌লের পা‌শের মস‌জিদ নির্মা‌ণকাজেও যুক্ত ছিলেন তিনি।

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার বাহেরচর এলাকার বাসিন্দা ১১০ বছর বয়সী এরফান ফ‌কির। শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে ভোগা এ ব্যক্তি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না। এমন অবস্থায় রোববার দুই ভাতিজার কাঁধে ভর ক‌রে কেন্দ্রে গিয়ে গিয়েছেন উপজেলা নির্বাচনের ভোট।

গরমের মধ্যে আংগা‌রিয়া মাধ‌্যমিক বিদ‌্যালয় কে‌ন্দ্রে সকাল সা‌ড়ে ১০টার দিকে ভোট দেন এরফান। যে স্কুলটিতে তিনি ভোট দিয়েছেন, সেটি নির্মাণের সময় রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেছেন এ ব্যক্তি। স্কু‌লের পা‌শের মস‌জিদ নির্মা‌ণকাজেও যুক্ত ছিলেন তিনি।

জীবন সায়াহ্নে এসে ভোট দেয়ার অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে এরফান ফকির বলেন, ‘জীব‌নে কোনো ভোটই মিস ক‌রি নাই। তাই শতক‌ষ্টের ম‌ধ্যেও এবার আস‌ছি ভোট দি‌তে। জীব‌নে আর ভোট দি‌তে পারি কি না জা‌নি না।’

এ বয়‌সে ভোট দি‌তে পে‌রে নি‌জে‌কে ধন‌্য ম‌নে ক‌রেন এরফান।

তিনি আরও বলেন, ‘যে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ক‌রে‌ছি, সেই প্রতিষ্ঠা‌নে ভোট দি‌তে এলাম।’

কে‌ন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার দীপংকর চন্দ্র শীল বলেন, ‘সকাল থে‌কে আমার কে‌ন্দ্রে ভোটার উপ‌স্থি‌তি অনেক বে‌শি। নি‌জে‌কে গ‌র্বিত ম‌নে ক‌রে‌ছি যে, উনার মতো (এরফান ফ‌কির) একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মুরুব্বিকে আমি নি‌জে বু‌থে নি‌য়ে তার ভোটটা প্রয়োগ কর‌াতে পে‌রে‌ছি।

‘যে‌হেতু তার হাত এবং পাঁ কাপ‌তেছিল, সেহেতু তিনি যেখা‌নে সিল মার‌তে ব‌লে‌ছেন, আমি সেখা‌নেই সিল মে‌রে উনা‌কে দে‌খি‌য়ে‌ছি। ১১০ বছর বয়‌সী উনার মতো একজন ভোটার আমার কে‌ন্দ্রে আমা‌দের সক‌লের সহ‌যো‌গিতায় ভোট দি‌তে পে‌রে‌ছে। তা‌তে আমি ধন‌্য হ‌য়ে‌ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর