নাটোর সার্কিট হাউসে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে সার্কিট হাউসের তিন তলার একটি ভিআইপি কক্ষ পুড়ে গেছে।
শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে আগুন লাগার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাছুদুর রহমান।
নাটোর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ফিরোজ কুতুবী জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মশার কয়েল বা সিগারেটের আগুন থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকেত পারে। ভোররাতে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) সহকারী কমিশনার রাশেদুল ইসলামের ফোনে আগুন লাগার খবর পেয়ে নাটোর স্টেশনের দুটি ফায়ার ফাইটার ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ধারণা, সংস্কার কাজের শ্রমিকদের ব্যবহৃত মশার কয়েল বা সিগারেটের আগুন থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। আগুন নেভানোর পর ওই কক্ষে শ্রমিকদের তিনটি প্যান্ট দেখতে পান তারা।
বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
অগ্নিকাণ্ডে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি সার্কিট হাউসের তত্ত্বাবধায়কদের।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাছুদুর রহমান জানান, অগ্নিকাণ্ডে সরকারি মালামালের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ঠিকাদারদের মালামাল ও যন্ত্রাংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া তদন্তে কারও গাফিলতি বা জড়িতের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, ‘কক্ষটি সংস্কারের জন্য গণপূর্ত বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা ছিল। তারা কাজ শেষ করে কক্ষটি আমাদের এখনও বুঝিয়ে দেয়নি। আগুন কীভাবে লাগল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার দেব জানান, কক্ষটিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে ইন্টেরিয়র ডিজাইনসহ সংস্কার কাজ চলছিল। ঠিকাদারের লোকজন দিনে কাজ করে এবং রাতে দ্বিতীয় তলায় থাকে। আগুনে ভবনের বা কোনো সরকারি মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ঠিকাদারের কিছু মালামাল এবং যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে।