বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত

  • প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)   
  • ২৬ মে, ২০২৪ ২১:৫৯

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ খালিদ হোসেন বলেন, ‘সব রোহিঙ্গা শিবিরে লোকজনকে সতর্ক করা হয়েছে। মাইকিং করে ক্যাম্পের দুর্বল ঘরগুলো বাঁশ ও রশি দিয়ে মজবুত করতে বলা হচ্ছে। পাশাপাশি পাহাড়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।’

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’-এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে আছেন কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড় ও বন কেটে ঝুঁকিতে বসবাস করা লাখ লাখ রোহিঙ্গা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খোলাসহ প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতি বিষয়ে একটি প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে।

‘ইতোমধ্যে ক্যাম্পগুলোতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাম্পে স্কুল ও মসজিদ-মাদ্রাসাসহ মজবুত সেন্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ খালিদ হোসেন বলেন, ‘সব রোহিঙ্গা শিবিরে লোকজনকে সতর্ক করা হয়েছে। মাইকিং করে ক্যাম্পের দুর্বল ঘরগুলো বাঁশ ও রশি দিয়ে মজবুত করতে বলা হচ্ছে। পাশাপাশি পাহাড়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের চিহ্নিত করে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।’

টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হোসেন আহমেদ জানান, ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনতে এমন খবরে ক্যাম্পে সতর্ক থাকার জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে। ক্যাম্প পাহাড়ের তীরে ও ঝুপড়ি ঘর হওয়ায় তাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা শিবিরের মাঝি হেদায়েত উল্লাহ বলেন, ‘যারা নিচে ঘর করছিল তারা ঘূর্ণিঝড় আসার খবরে ভূমিধসের ভয়ে আছেন।’

টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা শিবির ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে ক্যাম্পের অলিগলিতে সতর্ক করা হচ্ছে। এ ছাড়া পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফকাত আলী বলেন, ‘আশ্রিত রোহিঙ্গাদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের ভেতরের মসজিদ, লার্নিং সেন্টার আশ্রয় নেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর