বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইবি ছাত্রলীগের এক সহসভাপতি পদের দাবিদার দুই সিরাজ

  •    
  • ১৭ মে, ২০২৪ ১১:৩৬

কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সম্পাদক শেখ ইনানের স্বাক্ষরিত এ কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ক্যাম্পাসের ৭১ জন নেতাকে মনোনীত করা হয়।

দীর্ঘ ৮ বছর পর ঘোষিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে সহসভাপতির এক পদ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।

গত ১০ মে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১৯৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ ওই কমিটি গঠন করা হয়। কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সম্পাদক শেখ ইনানের স্বাক্ষরিত এ কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ক্যাম্পাসের ৭১ জন নেতাকে মনোনীত করা হয়।

তবে কমিটি ঘোষণার পর পরই সহ-সভাপতি পদ পেয়েছেন দাবি করে সিরাজ নামের দুজন সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। এ নিয়ে তৈরি হয় বিভ্রান্তি।

জানা যায়, কেন্দ্র ঘোষিত ১৯৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ৬৬ নম্বর সহ-সভাপতি পদটি দেয়া হয় সিরাজুল ইসলাম সিরাজ নামের ব্যাক্তিকে। তবে এই পদটি নিজের বলে দাবি একই নামের দুজন ব্যক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে নেতা বলে ওই দুজনের দাবির পাশাপাশি কর্মীরাও জানিয়েছেন উভয়কেই প্রাণঢালা অভিনন্দন।

সহ-সভাপতি দাবিদারদের একজন হলেন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। অপরজন হলেন কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম।

পদের দাবিদার বায়োটেকনোলজি বিভাগের সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, আমার নাম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। যে পদ দাবি করছে তার নামের সাথে পদের মিল নাই। পূর্বে হল পোস্টে আমার নাম আর নাম্বার দেয়া আছে। জয় ভাই আমাকে আমার পদ বলে নিশ্চিত করেছেন। সক্রিয় কর্মী হিসেবে সবাই আমাকে চেনে এবং জানে। অন্য একজন কেন পদ দাবি করছে বুঝতেছি না।

সিএসই বিভাগের সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি শাখা ছাত্রলীগের ১ নম্বর সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি ভাইয়ের কর্মী। উনি আমাকে আমার পদের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন। আরেকজন যিনি পদ দাবি করছেন, আমার জানামতে তার ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে ২০২১ সালে। তাহলে ২৪ সালে এসে কীভাবে কমিটিতে পদ পায় তা আমারও প্রশ্ন।

শাখা ছাত্রলীগের ১ নম্বর সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি বলেন, শাখা ছাত্রলীগের নেতারা আমাদের কারো সাথে আলোচনা বা সমন্বয় না করেই পছন্দমত কমিটি জমা দেয়ায় আমরাও আমাদের কর্মীদের মূল্যায়নের স্বার্থে কয়েকজনের নাম কেন্দ্রে জমা দেই। আমি যে সিরাজুলের নাম দিয়েছি, বিভ্রান্তি দূর করার জন্য ওর নামের পাশে নিকনেম হিসেবে সিরাজ দিয়েছিলাম। কিন্তু এটাও যে আরেকজনের সাথে মিলে যাবে তা আমি বুঝতে পারি নাই।

তিনি আরও বলেন, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সেক্রেটারি যার কথা বলছে সে ক্যাম্পাসে থাকেও না, রাজনীতিতেও সক্রিয় নয়। শেষ কবে এসে মিছিল মিটিং করেছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা প্রয়োজন। যেহেতু কেন্দ্রীয় নেতারা কমিটির অনুমোদন দিয়েছে, এই বিভ্রান্তি তারাই দূর করতে পারবে। আমরা তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

এ বিষয়ে রাতে পুনরায় সিএসই বিভাগের সিরাজুল ইসলামকে ফোন দেয়া হলে তিনি সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনিকে দিয়ে কথা বলান। সে সময় সহ-সভাপতি টনি একই কথা বলেন।

৬৬ নম্বর সহ-সভাপতি পদটি বায়োটেকনোলজি বিভাগের সিরাজুল ইসলাম সিরাজের বলে নিশ্চিত করে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, এখানে বিভ্রান্তি তৈরি হলেও আমি বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছি। সভাপতি সেক্রেটারির বাইরে যেয়ে কেন্দ্রে কারো নাম প্রস্তাব করার কোন সুযোগ নেই। যার সাথে যার সম্পর্ক ভালো তার কাছে হয়তো সুপারিশ বা অনুরোধ করতে পারে কিন্তু কমিটি প্রস্তাবনার এখতিয়ার একমাত্র আমাদের।

পদপ্রাপ্ত সিরাজের রাজনীতিতে সক্রিয়তার ব্যাপারে জানতে চাইলে জয় বলেন, যে পদ পেয়েছে সে ক্যাম্পাসে আছে, পড়াশোনা করছে। সবাই তো সব সময় ক্যাম্পাসে থাকে না, পারিবারিক কারণে বাসায়ও যায়। কে কি বললো সেসবের চেয়ে এতদিন পর সর্বজন গৃহীত একটা সুন্দর কমিটি হয়েছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, সহসভাপতি পদটি মূলত বায়োটেকনোলজি বিভাগের যে সিরাজের। ওর পদটা শাখা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি দিয়েছে। নামের পাশে বিভাগ বা সেশন উল্লেখ না থাকায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা পদধারী প্রত্যেকের জন্য চিঠি পাঠাব। আসন্ন অনুষদ ও হল কমিটিতে প্রয়োজনবোধে নামের পাশে বিভাগ বা সেশন উল্লেখ রাখব।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, ইবি ছাত্রলীগের সব নেতা-কর্মীকে তো আমরা চিনি না। ওই পদের বিষয়ে কেন্দ্র থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভালো বলতে পারবেন।

শাখা ছাত্রলীগের ১ নম্বর সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনির বক্তব্যের সূত্র ধরে কমিটিতে নাম প্রস্তাবনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কেউই প্রস্তাবনা দিতে পারেন যে এই নামে একটি ছেলে আছে, সে ভালো কি মন্দ, তাকে কমিটিতে রাখা যায় কি না। নাম প্রস্তাব দেয়া আর কমিটিতে রাখা তো এক কথা নয়। যেখানে সভাপতি, সেক্রেটারি আছে সেখানে ১ নাম্বার সহ-সভাপতি কে? যেকোনো বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলবেন।

এ বিভাগের আরো খবর