বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেনীতে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বোরো চাষিদের মাথায় হাত

  • প্রতিনিধি, ফেনী   
  • ৮ মে, ২০২৪ ২২:২৯

কৃষি বিভাগ বলছে, ধান যেহেতু ৮০ শতাংশের মত পেকেছে সেক্ষেত্রে চিটার আশঙ্কা নেই, তবে শ্রমিক খরচ কিছুটা বাড়তে পারে।

কালবৈশাখী ঝড়ে ফেনীতে নুয়ে পড়েছে কৃষকের পাকা বোরো ধান। কিছু স্থানে ধানের জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এতে ধানে চিটার পরিমাণ বেড়ে কৃষকের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, ধান যেহেতু ৮০ শতাংশের মত পেকেছে সেক্ষেত্রে চিটার আশঙ্কা নেই, তবে শ্রমিক খরচ কিছুটা বাড়তে পারে। এখনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা না গেলেও ধান দ্রুত মাঠ থেকে তুলে নিতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের জাহানপুর গ্রামের ষাটোর্ধ রফিকুল ইসলাম। নিজে গায়ে খেটে অন্যের ৮০ শতক জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করেছিলেন বোরো ধান।

তার দাবি, সব মিলিয়ে খরচ পড়েছে হাজার পঞ্চাশের মতো। আশা করেছিলেন, পাকা ধান ঘরে তুলে তৃপ্তির হাসি হাসবেন, কিন্তু তা আর হলো না। কালবৈশাখী ঝড় ও তুমূল বৃষ্টিতে নুয়ে পড়েছে তার ধান, হয়ে পড়েছে জলমগ্ন। এখন অর্ধেক ধানও ঘরে তুলতে পারে কি না, তা নিয়ে আছেন দুশ্চিন্তায়।

এমন চিত্র শুধু কৃষক রফিকুল ইসলামের জমিতেই নয়। জেলার সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম ও দাগনভূঞাঁর আরও বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো বৃষ্টিতে ধানের এমন ক্ষতি হয়েছে। মাঠের ধান নিয়ে দিশেহারা কৃষকদের।

আবুল হোসেন নামের আরেক কৃষক জানান, তিনি ১২০ শতক জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ধান পুরোপুরি পাকেনি, এর মধ্যেই বৃষ্টির কারণে নুয়ে পড়েছে। ৪০ শতাংশ ধানও তুলতে পারবেন কি না জানেন না তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফেনীর উপ-পরিচালক একরাম উদ্দিন বলেন, ‘ধানে বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ৩৫ শতাংশের মত ধান ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) বলা হয়েছে পানি নামানোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে।’

ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রণব চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। নিরাপদে মাঠ থেকে ধান তুলে নেয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারধ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় এ বছর ৩০ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ৩১ হাজার ২৭৭ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮২০ টন।

এ বিভাগের আরো খবর