বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে পড়তে পারে: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৮ মে, ২০২৪ ২০:২৩

সংসদ অধিবেশনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও ভোজ্যতেল, গম, সারসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য এবং শিল্পের কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে এ সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে দেশের অর্থনীতিতে সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বুধবার নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। একইসঙ্গে তিনি সংসদকে জানান, দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এ লক্ষ্যে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। আর সে কারণে ইতোমধ্যে আমরা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিশ্ববাজারে কয়েকটি পণ্য যেমন জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গম, সারসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের দেশে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে এ সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’

দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল বাজেটে ওএমএস খাতে চার লাখ টন চালের সংস্থান রয়েছে বলে সংসদে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ওএমএস (সাধারণ) খাতে প্রায় ১ দশমিক ৬৭ লাখ টন চাল এবং ২ দশমিক ১৩ লাখ টন আটা বিক্রি করা হয়েছে।

‘এ ছাড়া টিসিবির মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় ভর্তুকি মূল্যে এক কোটি পরিবারের মধ্যে ৫ কেজি করে প্রতি মাসে মোট ৫০ হাজার টন চাল বিতরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এই ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় চালের পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্যে ২ কেজি ডাল ও ২ কেজি সয়াবিন তেলও বিতরণ করা হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের ৫০ লাখ পরিবারকে বছরে কর্মাভাবকালীন ৫ মাস (সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল) ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা শহরগুলোতে ৩০ টাকা কেজি দরে ওএমএস চাল বিক্রি করা হচ্ছে। নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেয়ার উদ্দেশ্যে অভ্যন্তরীণ খাদ্য সংগ্রহ ও বিতরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ভর্তুকি ও প্রণোদনা হিসেবে ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। ডাল, তেল, মসলা, ভুট্টাসহ ২৪টি ফসল উৎপাদনের জন্য সুদ ভর্তুকির আওতায় বিদ্যমান ৪ শতাংশ সুদে বিশেষ কৃষিঋণ দেয়া হচ্ছে।

‘দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের ২৯ শতাংশ পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ।’

তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কমাতে বিভিন্ন শুল্ক ছাড় দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাজার দর স্থিতিশীল রাখা ও অবৈধ মজুতদারি কঠোরভাবে দমনের জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নীতি (রেপো) সুদ হার দফায় দফায় বাড়িয়ে মে ২০২২-এর ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে সবশেষ ৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। পাশাপাশি স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি (এসডিএফ বা রিভার্স রেপো রেট) বৃদ্ধি করে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে এবং ঋণের সুদ হারের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেয়া হয়েছে। নীতি সুদ হার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি করায় বাজারভিত্তিক গড় সুদ হারে দৃশ্যমান ঊর্ধ্বমুখী পরিবর্তন এসেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টাকার বিনিময় হারের সাম্প্রতিক পতন রুখতে শিগগিরই ক্রলিং পেগভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় নীতি নেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর