ঈদের বাকি আর মাত্র এক/দু’দিন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন যাত্রীরা। প্রতিবছরই এই ঈদযাত্রায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ে। তবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আগের যেকোনো বছরের তুলনায় পরিস্থিতি অনেকটাই স্বস্তিকর।
ঈদযাত্রায় যানজট বলতে যা বুঝায় তা নেই বললেই চলে। যদিও ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকায় এসে যানবাহনের চাকা কখনও থেমে থাকছে, আবার কখনও চলছে ধীরগতিতে।
সোমবার দুপুর থেকে পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
যাত্রী ও চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সারাবছরই এই মোড়ে যানবাহনের জট লেগে থাকে। ঈদ এলে তা আরও তীব্র হয়। এবারও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা।
শ্যামলছায়া পরিবহনের যাত্রী জয়নাল মিয়া বলেন, ‘এখনও ঈদের কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে যানজট বাড়তে শুরু করেছে। ঈদের আগের দিন হয়তো মাত্রাতিরিক্ত যানজট সৃষ্টি হবে। এজন্য যত দ্রুত সম্ভব যাত্রীদের বাড়ি ফেরার চেষ্টা করা উচিত।’
বাসচালক মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত পাটগুদাম ব্রিজ দিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। এই মোড়ের যানজট চিরচেনা। ট্রাফিক পুলিশ রাতদিন কাজ করেও যানজট নিরসন করতে পারে না। অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ঈদের আগের দিন চরম যানজটে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়বেন যাত্রীরা।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘সব রুটের যানবাহন এই ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ হয়ে পারাপার হচ্ছে। ঈদে গাড়ির চাপ বাড়ায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে আগের বছরের চেয়ে এবার যানজট কম। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে ট্রাফিক পুলিশ রাত-দিন কাজ করছে।