পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার কেশবপুর থেকে বালুঘাটা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ করছে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। গত বছর কাজটি শুরু হলেও কাজে অনিয়মের কারণে পুরো এক বছর কাজ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি পুনরায় কাজ শুরু হলেও বন্ধ হয়নি অনিয়ম- বরং পুরোনো অনিয়মই এখন নতুন রূপে ফিরে এসেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গত এক বছর কাজ বন্ধ ছিল কাজে অনিয়মের কারণে। এখন আবার সেই একই রকম অনিয়ম হচ্ছে। আমরা চাই আমাদের এলাকার রাস্তার কাজ যেন ঠিকভাবে হয়।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাবিশ দিয়ে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। পুরোনো ভাঙা ইট দেওয়া হয়েছে। এমন ইট ব্যবহার হচ্ছে যা দিতেই ভেঙে যাচ্ছে। দুর্নীতি এখানে চরমে পৌঁছেছে। প্রতিবাদ করতে গেলেও উপর মহলের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’
মাওলানা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আগেও রাবিশ দিয়ে কাজ চলছিল। এবারও দুই নম্বর মালপত্র দিয়ে কাজ করছে। আমরা তখনই বলেছিলাম- এইভাবে কাজ করলে সমস্যা হবে। তারা তখন কোনো উত্তর দেয়নি।’
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী ঠিকাদারের সাথে টাকার বিনিময়ে হাত মিলিয়ে এই ধরনের দুর্নীতির কাজ করাচ্ছেন। টাকা না খেলে কেউ এমন পচা খোয়া, রাবিশ আর পোড়া মবিল দিয়ে কাজ করার সাহস পেত না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম শুধু ঠিকাদারি ব্যবসাই করছেন না তিনি আইডিয়াল নামক একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং একই সঙ্গে সংবাদপত্রেও কাজ করেন। এক ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানে জড়িত থেকে প্রভাব খাটিয়ে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলছেন এবং সেই সুযোগে সরকারি কাজ নিয়ে নানা নয়-ছয় করছেন, এর ভুক্তভোগী এখন সাধারণ জনগণ।
উপজেলা প্রকৌশলী বাকি বিল্লাহ কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সংক্ষেপে বলেন, আমি মিটিংয়ে আছি, পরে আপনাকে কল দেব।