ভারত সরকারের সমর্থনের বিনিময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদাকে বিসর্জন দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের ম্যান্ডেট চায় না। বরং মোদি সরকারের সমর্থনে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে এবং পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ হয়ে তারা ক্ষমতা দখল করেছে।
‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে একটি ডামি রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করছে। তাদের পেছনের আসল শক্তি বাংলাদেশের জনগণ নয়, ভারত। আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ভারত দেশের নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন করছে।
বিদেশি প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ‘এমনটাও বিশ্বাস করতে হয় যে ভারত বাংলাদেশ পুলিশ ও বিজিবির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের নির্দেশ দেয়, যা আমাদের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করে।’
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিবৃতির কথাও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থিতিশীলতার নামে আমাদের সার্বভৌমত্বের ধারণাকে বিপদগ্রস্ত করা হচ্ছে।
ভারতের কথিত আধিপত্যকে আওয়ামী লীগের মেনে নেওয়ার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ কখনোই ভারতের আধিপত্য মেনে নেবে না, এমনকি আওয়ামী লীগ নেতারা করলেও।
‘বিএনপির বিরোধ ভারতের জনগণের সঙ্গে নয়, বরং বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারত সরকারের নীতির সঙ্গে।’
বাংলাদেশে ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইন জোরদার হচ্ছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘এটা দেশটির প্রভাবের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের প্রতিবাদ।
‘আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের সামাজিক মাধ্যমের আন্দোলনকে সমীচীন নয় বলে মনে করছেন। এটা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে ভারতের ভূমিকার প্রতি জনগণের অসন্তোষের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে অস্বস্তির বহিঃপ্রকাশ।’