বাগেরহাটের মোল্লাহাটে দুই বংশের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের মোল্লারকুল গ্রামে রোববার রাতে ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।
নিহত ৪০ বছর বয়সী পান্না মোল্লা মোল্লারকুল গ্রামের তৈয়ব আলী মোল্লার ছেলে।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ওই এলাকায় নতুন করে সংঘাত এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের মোল্লারকুল গ্রামের খাঁকি ও কাজী বংশের আধিপত্য নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এই বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান জানান, মোল্লাহাট উপজেলার মোল্লারকুল গ্রামের আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় খাঁকি ও কাজী বংশের বিরোধ বেশ পুরোনো। সেই বিরোধের জেরে রোববার বিকেলে মোল্লারকুল হাটে কাজী বংশের দুই সমর্থকের সাথে খাঁকি বংশের সমর্থকদের কথাকাটাকাটি হয়। পরে তারা আলাদা আলাদাভাবে ঢাল সড়কি, ইট পাটকেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
তিনি জানান, দেশীয় অস্ত্র নিক্ষেপের মধ্যে এই দুটি পক্ষই বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। এই সংষর্ষের খবর পুলিশের কাছে আসলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করে। উভয়পক্ষের সংঘর্ষে কাজী বংশের সমর্থক পান্না মোল্লা নামে একজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে পুলিশের ছয়জন সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, আহতদের স্থানীয় মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পান্না মোল্লা গুলিতে না দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মারা গেছেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওই এলাকায় নতুন করে সংঘাত এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।