কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ‘অভাবের তাড়নায়’ দত্তক দেয়া শিশুটিকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রশাসন।
ভূরুঙ্গামারীর বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যানের কক্ষে আনুষ্ঠানিকতা শেষে শনিবার রাতে বাবার কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়।
যে শিশুটিকে দত্তক দেয়া হয়েছিল, তার নাম মুক্তি। বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বানুরকুটি গ্রামের পাথরশ্রমিক শফিকুলের পঞ্চম সন্তান সে।
শনিবার সকালে জন্মগ্রহণ করে মুক্তি। জন্মের পাঁচ ঘণ্টা পর শিশু মুক্তিকে প্রতিবেশী মামাত বোন লাকীর কাছে দত্তক দেন শফিকুল।
দত্তকের বিষয়টি প্রশাসন জানতে পারে। পরে রাতেই স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শফিকুল-মরিয়ম দম্পতির কাছে মুক্তিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
শিশুটির বাবা শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০ হাজার টাকায় ওই কন্যাসন্তানকে বিক্রি করে দেন তিনি।
এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি টাকা নিয়ে সন্তানকে অন্যের কাছে বিক্রি করেননি। অভাবের সংসারে এতগুলো সন্তানের ভরণপোষণ করতে পারবেন না বলে দত্তক দিয়েছিলেন, যেন তার সন্তান অন্যের হাতে ভালো থাকে।
তিনি আরও জানান, এর আগেও আরেক মেয়েকে অন্যের কাছে দত্তক দেন। এখন শিশু মুক্তিকে ফিরে পেয়ে অনেক খুশি তিনি, তবে বর্তমানে ছোট ছোট চার সন্তানের ভরণপোষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘দত্তক দেয়ার খবর পাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শিশুটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হয়।’
তিনি বলেন, দুটি শিশু দত্তক দেয়ার ঘটনায় ওই দম্পতিকে সতর্ক করার পাশাপাশি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলে দেয়া হয়েছে, যেন তারা এমন ঘটনা আবার না ঘটায়। পরিবারটিকে সরকারি সহযোগিতার আশ্বাসও দেয়া হয়েছে।