বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশুকে হত্যা মা-চাচার: পুলিশ

  • প্রতিনিধি, পটুয়াখালী    
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০৯:৫৬

দশমিনা থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘মরিয়ম হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত রিনা বেগম ও চাচা সেন্টু মৃধাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের রামবল্লভ গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মরিয়ম নামে ৮ বছরের নিজের সন্তানকে মা রিনা বেগম ও চাচা সেন্টু মিয়া হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের রামবল্লভ গ্রামে মরিয়ম হত্যার ঘটনাস্থলে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘দশমিনা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন মা রিনা বেগম ও চাচা সেন্টু মিয়া।’

জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম জানান, মরিয়ম হত্যার ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্তে নামে। হত্যার আগে মরিয়মের মা রিনা বেগম ও চাচা সেন্টু মৃধা জমিজমা বিরোধিতায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মরিয়মকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মা রিনা বেগম মেয়ে মরিয়মকে পাশের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নতুন পোশাক পরিয়ে চুল বেঁধে সাজিয়ে গুছিয়ে বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত ভিটায় নিয়ে যান। সেখানে ওড়না দিয়ে মরিয়মের মুখ বেঁধে রাখেন আর চাচা সেন্টু মৃধা মোটা শক্ত লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথায় আঘাত করে মরিয়মকে হত্যা করেন।

তিনি আরও জানান, মরিয়মকে হত্যার আলামত ঢাকতে মা রিনা বেগম রক্তাক্ত পোশাক নিয়ে পুকুরে নেমে সাঁতার জানা মরিয়মকে খুঁজতে থাকেন এবং মরিয়মের নিখোঁজ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়ি বাড়ি না খুঁজে এলাকার মসজিদের মাইকে তার নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ প্রচার করতে থাকেন। এ ছাড়া মরিয়মের মায়ের অসংলগ্ন আচরণ দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। মরিয়মকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত লাঠি ও ওড়না উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি রামবল্লভ অগ্রণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ৮ বছর বয়সী মরিয়মকে বাড়িতে ফিরতে না দেখে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাত ৮টার দিকে বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত ভিটায় মরিয়মের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তার বাবা মকবুল মৃধা। ওই সময় শিশুটির মাথা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল এবং গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১২টার দিকে মরিয়মের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত মরিয়মের বাবা মো. মকবুল মৃধা বলেন, ‘পুলিশ বলেছে মরিয়মের মা রিনা বেগম ও আমার ভাই সেন্টু মৃধা মিলে মরিয়মকে হত্যা করেছে, ঘটনা সত্যি না মিথ্যা বুঝতে পারতেছি না, তবে তারা যদি সত্যি অপরাধী হয়, তাহলে তাদের যেন কঠোর বিচার হয়।’

এ বিষয়ে দশমিনা থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘মরিয়ম হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত রিনা বেগম ও চাচা সেন্টু মৃধাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর