চলতি মৌসুমে নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলায় ২,৫৬৭ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি ভাল ফলন হওয়ায় এবং উপযুক্ত দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝলক ফুটে উঠেছে।
নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলায় ২৫৬৭ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলার ১৫৫ হেক্টর, পলাশে ১৫৩ হেক্টর, শিবপুরে ৪০০ হেক্টর, মনোহরদীতে ৮৫ হেক্টর, বেলাবতে ১১৪৪ হেক্টর এবং রায়পুরা উপজেলায় ৬৩০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির চাষ করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির মধ্যে রয়েছে কাঁকরোল, বেগুন, ঢেঁড়শ, শশা, সিম, চাল কুমড়া, মূলা, ডাটা, মূলাশাক, ডাঁটাশাক, লাউ, পুঁইশাক, পালংশাক, পাটশাক, কলমীশাক, বরবটি, ঝিংগা, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, করলা, উচ্ছে, সজিনা, পটল, কাঁচকলা, মুথীকচু, পানিকচু এবং পেঁপে ইত্যাদি। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সবুজ রঙের শাকসবজিতে ভরে গেছে খেত।
গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি চাষ করেও লাভবান হয়েছেন এখানকার কৃষকরা। গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিক থেকে বিভিন্ন এলাকায় এরই মধ্যে বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে এই সকল শাকসবজি। ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।
শিবপুর উপজেলার কোন্দারপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল জানান, ধান চাষ করে আমরা খুব একটা লাভবান হতে পারিনি। তাই এ বছর গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির চাষ করেছি। বর্তমান বাজারে দামও পাচ্ছি বেশ ভাল। তিনি আরো জানান, ‘এ বছর তিনি দুই বিঘা জমিতে শাকসবজির চাষ করেছি। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত আমি দুই বিঘা জমি থেকে প্রায় ২৫ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছি।’
রায়পুরা উপজেলার বারৈচা গ্রামের অপর এক চাষি আব্দুল জব্বার জানায়, ‘অন্যান্য ফসলের তুলনায় গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি চাষ অধিক লাভজনক। আমি এক বিঘা জমিতে সবজির চাষ করেছি। এ পর্যন্ত আমি প্রায় ১২ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছি।’
নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুল হক জানান, চলতি মৌসুমে জেলার সর্বত্র আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির ফলন খুব ভাল হয়েছে এবং কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছে।