মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ গোলযোগ এবং বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সশস্ত্র বাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধৈর্যধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে আইনমন্ত্রী সংসদ অধিবেশনে বলেন, বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সোমবার এসব তথ্য জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বা প্যারামিলিটারি বাহিনী (বিজিবি) যারা রয়েছে, তাদের ধৈর্যধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ডারের স্কুলগুলো বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
মজিবুল হক তার সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী বাহিনীর যুদ্ধবস্থা চলছে। গোলাগুলি হচ্ছে। সেই গোলা এসে বাংলাদেশে পড়ছে। পত্রিকার খবর অনুযায়ী সেখানে (বাংলাদেশি সীমানায়) কিছু গোলাও পাওয়া গেছে, যে কারণে সেখান থেকে সাধারণ মানুষ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। স্থানীয় মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বোধ হয় বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে?’
জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এ ব্যাপারে সরকার ওয়াকিবহাল আছে। আজকে যে ঘটনা ঘটেছে, ৭৮ জন মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশ বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাদের মধ্যে কিছু কিছু আহতও আছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদেরকে আপাতত একটা স্কুলে রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটা আলোচনার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা সেই আলোচনা করার জন্য এবং তাদেরকে ফেরত পাঠানো বা ফেরত যদি পাঠানো না যায়, তাহলে অন্যান্য ব্যবস্থা কী করা যায় সেটাও হবে। রোববার যেটা হয়েছিল, মর্টার শেলে আমাদের একজন মারা গেছে, ওদেরও একজন মারা গেছে (রোহিঙ্গা)।’