ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের বিভিন্ন জায়গায় ‘ফুল ছিঁড়লেই হলের সিট বাতিল করা হবে’ লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড টানানো হয়েছে। এ নিয়ে হলের শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস সোমবার দুপুরে দেখা যায়, এরই মধ্যে হল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে পোস্টারগুলো।
শীতকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় হরেক রকমের ফুল ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বছরের অন্য সময় থেকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। ফুল যতদিন ঝরে না যায়, ততদিন ক্যাম্পাসের এই পরিবেশ ধরে রাখতে শিক্ষার্থীদের প্রতি শুরু থেকেই আহ্বান জানিয়ে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, তবে হঠাৎ করে ‘হুমকিস্বরূপ’ এমন প্ল্যাকার্ড দেখে হতভম্ব হন শিক্ষার্থীরা।
ফুল সংরক্ষণে এর সৌন্দর্যবর্ধনে প্রশাসনের অবশ্যই দায়িত্ব রয়েছে, তবে এমন হুমকিস্বরূপ প্ল্যাকার্ডে ক্ষোভ দেখিয়েছেন হলের আবাসিক ছাত্রীরা।
কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা নিউজবাংলাকে জানান, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ নষ্ট করা মোটেও উচিত নয়। তাই বলে হল থেকে এমন হুমকি দেয়া কতটা যুক্তিযুক্ত, তা ভেবে দেখা উচিত। হল প্রশাসনের উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের ডেকে সচেতন করা। তারপরও না মানলে তখন এমন ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল।
এ বিষয়ে হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক রেবা মণ্ডল বলেন, ‘সিট বাতিল করা হবে বলা থাকলেও আসলে ব্যাপারটা তেমন নয়। অনেক মেয়েই বিনা কারণে ফুল ছিঁড়ে ফেলে বাগানের সৌন্দর্যকে নষ্ট করছে। শুধু সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই এমন সতর্কতা দেয়া হয়েছে। অতীতেও এমন করা হয়েছে।
‘আমি তো কিছুদিন ধরে দায়িত্বে এসেছি। আমি জানতাম না ব্যানারে এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে যখন জেনেছি, তখনই ব্যানারগুলো অপসারণের নির্দেশ দিয়েছি। আমি হলের কর্মকর্তাদের ফুল ছেঁড়ার ব্যাপারে ব্যানার টাঙাতে বলেছিলাম। তারা যে এতটা কঠোরভাবে করবে, ভাবিনি।’