গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুরত্বর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের। তবে হামলাকারীদের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
সোমবার বিকেলে সাঘাটা উপজেলার হাট ভরতখালী মোড়ে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের গটিয়া এলাকা থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে সাঘাটার নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর। ফেরার পথে তিনি হাট ভরতখালী এলাকায় পৌঁছালে তার পথরোধ করে একদল দুর্বৃত্ত। দুর্বৃত্তরা তাকে সিএনজি অটোরিকশা থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে লোহার রড, হকি স্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলাপাথাড়ি মারধর ও কুপিয়ে আহত করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে প্রথমে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে কারা এই হামলার সাথে জড়িত, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ এটি নিয়ে কাজ করছে।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং প্রয়াত ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলীর প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির। দলের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন বুবলী। নির্বাচনে তার ট্রাক প্রতীক পেয়েছে ৬৩ হাজার ৫২৬ ভোট। আসনটিতে নৌকার প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন ১ লাখ ৭ হাজার ৩৯৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন।