বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩ সরকারি কর্মকর্তার নৌকার পক্ষে প্রচার!

  • প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া   
  • ৫ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৮:২৭

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থকের করা লিখিত অভিযোগের পর সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে একজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে পোলিং এজেন্ট মোহাম্মদ হোসেনের বিষয়ে ‘মনে করতে পারেননি’ সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে তিন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তাদের মধ্যে দুজন আসন্ন নির্বাচনে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্ট হিসেবে নির্বাচনি দায়িত্বে রয়েছেন।

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থকের করা লিখিত অভিযোগের পর সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে একজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।

অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার চাতলপাড়ের কৃষি ব্যাংকের ক্যাশিয়ার মোহাম্মদ মোকাদ্দিস হোসেন, তিনি সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়েছিলেন; ভলাকুট ইউনিয়নের বালিখোলা কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার মোহাম্মদ হোসেন, যিনি নির্বাচনে পতইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত ভান্ডাররক্ষক জামাল আহমেদ। নৌকার প্রার্থীর পক্ষে একাধিক জায়গায় প্রচার-প্রচারণাসহ বিভিন্ন মিছিল ও সমাবেশে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে তাদের।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আসন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিএম ফরহাদ হোসেন। ভোটে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কলার ছড়ি প্রতীকের বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ একে একরামুজ্জামান।

গত বুধবার এবং শুক্রবার ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নৌকার পক্ষে প্রচার চালানোসহ ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে মোহাম্মদ ইমরানুল ইসলাম। অভিযোগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসহ নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

শুক্রবারের লিখিত অভিযোগে ইমরানুল লিখেছেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত ভান্ডাররক্ষক নিয়মিত নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সভা, মিছিল ও উঠান বৈঠক করছেন যা সরকারি চাকরিজীবী আইনের পরিপন্থি। তাকে নির্বাচনি কাজে দায়িত্ব না দেয়াসহ তার বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।’

এ ছাড়া গত বুধবার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবার আরও একটি অভিযোগত্র দাখিল করেন তিনি। ওই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘কৃষিব্যাংকের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোকাদ্দিস নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সভা, মিছিল ও উঠান বৈঠক করছেন। তিনি এলাকার সাধারণ মানুষকে নৌকা মার্কায় ভোট প্রদানের জন্য হুমকি দিচ্ছেন। ভোট সুষ্ঠু হবে না, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভোটে বিজয়ী হলেও নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হবে বলে গুজব ছড়াচ্ছেন মোকাদ্দিস।

‘২০১৮ সালের নির্বাচনে চাতলপাড়ে নৌকার পক্ষে জোরপূর্বক ভোট প্রদানের সময় জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হন তিনি। কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার মোহাম্মদ হোসেনও নৌকার পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ মোকাদ্দিস হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চাতলপাড়ের কাঠালকান্দি গ্রামে এলাকাবাসী একটি সভা করে। আমার বাবা-চাচাসহ আত্মীয়-স্বজনের চাপে আমিও সেই সভায় উপস্থিত ছিলাম। অন্য কোনো প্রচারে আমি অংশ নেইনি।

জামাল আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। আমি কারও পক্ষে কোনো প্রচারে অংশ নেইনি এবং যাইনি। এ ছাড়া আমাকে নির্বাচনের কোনো দায়িত্বেও রাখা হয়নি।’

জানতে চাইলে মোহাম্মদ হোসেনও অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানা হয়েছে।’

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মোহাম্মদ মোকাদ্দিসকে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। জামাল আহমেদকে শুরু থেকে কোনো দায়িত্বে রাখা হয়নি। মোহাম্মদ হোসেনের বিষয়টি মনে পড়ছে না।’

এ বিভাগের আরো খবর