বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২৩:৩৪

কমলাপুর রেলওয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে ট্রেনে আগুনে নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আগুন দেয়া হয় নেত্রকোনা থেকে ছেড়ে আসে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে। এতে চারজন নিহত হন। তাদের মধ্যে ছিল ছোট্ট শিশু ইয়াসিন, যাকে বাঁচাতে শেষ চেষ্টা করেছিলেন মা নাদিরা আক্তার পপি। সন্তানকে বুকে আগলে ধরেই পুড়ে যান তিনিও।

মরদেহ উদ্ধারের সময় মায়ের কোলেই ছিল ইয়াসিন। উদ্ধারের সময় এমন দৃশ্য নাড়া দেয় সবাইকে। ট্রেনে অগ্নি-সন্ত্রাসের কবলে প্রাণ হারানোদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।

শুক্রবার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আগুনে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও মোমবাতি প্রজ্বালনের আয়োজন করা হয়। ‘নাশকতার বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ সকল স্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। মোমবাতি হাতে সমবেত কণ্ঠে সবাই গেয়ে ওঠেন ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে, এ জীবন পুণ্য করো দহন-দানে’। এরপর নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

শ্রদ্ধা জানাতে আসা অনেকে অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন- ট্রেনের মতো নিরাপদ বাহনে যারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। আর যেন কোনো শিশু কিংবা কোনো প্রাণ নাশকতার আগুনে পুড়ে মারা না যায়। অগ্নি-সন্ত্রাসীদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা কোনোভাবেই রাজনীতির অংশ হতে পারে না।

প্রসঙ্গত, নেত্রকোণা সদরের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন একই পরিবারের সদস্য ও স্বজনসহ ৯ জন। সোমবার রাতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ওঠেন তারা। বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান তাদের পাঁচজন। এরপর ট্রেন চলতে শুরু করলে হঠাৎ ধোঁয়ায় ভরে যায় কামরা। ‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। তেজগাঁও স্টেশনে ট্রেন থামতে সবাই হুড়োহুড়ি করে নেমে যান। শুধু চার হতভাগ্য নামতে পারেননি। তাদের মধ্যে ছিলেন নাদিরা আক্তার পপি ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াসিন। আগুনে পুড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাদের।

পপির দেবর প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘ভাবির কোলে ছিল ছোট্ট ইয়াসিন। বাচ্চা নিয়ে উনি আর নামতে পারেননি। আগুন নেভানোর পর ওনার লাশ উদ্ধার করা হয়। তখনও তার কোলে ছিল সন্তানের মরদেহ।’

এ বিভাগের আরো খবর