দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও তাদেরই নেতা-কর্মী জানিয়ে এসব প্রার্থীর প্রতি পক্ষপাত বা বৈরী পরিবেশ তৈরি না করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা আমাদের দলের প্রার্থী আছেন এবং যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তারাও কিন্তু আমাদের দলেরই নেতা-কর্মী। সুতরাং এর মধ্যে কোনপ্রকার পক্ষপাত বা কোনো বৈরী পরিবেশ তৈরি করা যাবে না। নির্বাচনে কোনো পক্ষপাতমূলক প্রতিক্রিয়া আমরা চাই না, যা সমর্থনযোগ্য নয়।
আওয়ামী লীগ সহিংসতামুক্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ চাই। নির্বাচনকে নিয়ে কোনো সহিংসতা চাই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভায়োলেন্স ফ্রি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বা কোনো প্রার্থী যদি সহিংসতায় জড়ায় তাহলে নির্বাচন কমিশন যে আইনগত ব্যবস্থা নেবে, আমরা সেটিকেই সমর্থন করব। নির্বাচনকালীন কোনো সহিংস কর্মকাণ্ড সমর্থন দেব না, প্রশ্রয়ও দেব না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আমাদের দলের হলেও তাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই ভাবতে হবে।
বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনের ডাক নিয়ে আবারও সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেন সেতুমন্ত্রী। বলেন, বিএনপি বলছে ট্যাক্স দেবে না, না দিলে জেলে যেতে হবে। ইউটিলিটি বিল না দিলে শাস্তি পেতে হবে। বিদুৎ বিল না দিলে লাইন কেটে যাবে, পানির বিল না দিলে পানির লাইন কেটে যাবে। খাজনা-ট্যাক্স না দিলে শাস্তি পেতে হবে। ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করবেন না। অনেকে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন ইতোমধ্যে। তারেক রহমানের অসহযোগ করলে আমও যাবে, ছালাও যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশে বসে এসব উদ্ভট আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে। সাহস থাকলে দেশে আসুন। বিদেশে বসে বাংলাদেশে খোমেনি স্টাইলে বিক্ষোভ হবে না। হয় রাজপথে না হয় জেলে যেতে হবে। আন্দোলন করতে হলে বিদেশে বসে হয় না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আবারো ওয়ান ইলেভেনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু এ দেশে আর তা হবে না। সে সুযোগও নেই।