আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ট্রেনে আগুন নিয়ে বিএনপি নেতা রিজভী সাহেবদের মিথ্যাচার হত্যাকাণ্ডের চেয়েও নারকীয়, বীভৎস ও কুৎসিত।
রাজধানীতে সচিবালয়ের তথ্য অধিদফতর সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। সূত্র: বাসস
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সবসময় দেশে শান্তি ও স্থিতি বজায় রাখতে চায়, সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে চায়। দেশকে অস্থিতিশীল করার হীন উদ্দেশ্যে নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি-জামায়াত ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে অগ্নি-সন্ত্রাস করেছিলো এখনও একই কায়দায় তা করছে, এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট।’
তিনি বলেন, ‘তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন দিয়ে নারকীয়ভাবে মা-সন্তানসহ চারজনকে এবং এর আগে বহু মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার চেয়েও বেশি জঘন্য কুৎসিত বিষয় হলো রিজভী সাহেবদের মিথ্যাচার।
‘যারা এসব ঘটনা ঘটিয়ে, ঘটনার নির্দেশ দিয়ে আবার সেগুলোকে আড়ালের চেষ্টা করে তারাও সমান অপরাধী। জনগণের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার। শুধু আগুন-সন্ত্রাসী নয়, তাদের হুকুমদাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।’
ড. হাছান বলেন, ‘ভোট নিয়ে ইতোমধ্যে জনগণের ভেতরে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। প্রতিটি আসনে গড়ে ৭ জনের বেশি প্রতিদ্বন্দ্বী। সে কারণে নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। যে যত কথাই বলুক, নির্বাচন বিরোধীরা যত চেষ্টাই করুক, ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। ভোটার উপস্থিতির জন্য বাড়তি কোনো প্রচেষ্টার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। আর বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনে তাদের কর্মীরাই নেতাদের সহযোগিতা করছে না।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সব প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত। ক’দিন আগে নির্বাচন কমিশন দেশের বেশির ভাগ ইউএনও এবং অর্ধেকের বেশি থানার ওসি বদলি করেছে। কয়েকজন ডিসিকেও বদলি করেছে।
‘নির্বাচনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সুতরাং ভোট সুষ্ঠু করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। সরকার এক্ষেত্রে সর্বতোভাবে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে।’
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে দেশের অর্জন নিয়ে আলোচনা
মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এর আগে দুবাইয়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮ এ দেশের অর্জন নিয়ে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হন।
প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, ফোরামের সভাপতি কাউসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রমুখ এ সময় বক্তব্য দেন।