মেহেরপুর জেলায় বিভিন্ন সময় হারানো ও চুরি হওয়া ১২২টি মোবাইল ও প্রতারণার মাধ্যমে ১০ লক্ষ ১৮ হাজর ৩শত টাকা উদ্ধার করে ভোক্তভোগীদের হাতে তুলে দিলেন মেহেরপুর জেলা পুলিশ।
আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যলয় প্রাঙ্গণে উদ্ধারকৃত মোবাইল ও টাকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম।
জেলার সদর থানা, গাংনী থানা এবং মুজিবনগর থানা এলাকায় হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ও টাকা সংক্রান্তে ভুক্তভোগীদের জিডির বিপরীতে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল জুন ও জুলাই মাসে ১২২টি মোবাইল ও প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত ৯ লক্ষ ১৭ হাজার এবং বিকাশ ও নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এ ভুলক্রমে অন্য নম্বরে চলে যাওয়া ১ লক্ষ ১ হাজার ৩শত টাকা বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করে উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া মোবাইলের ভেতর সদর থানার ৪১টি, গাংনী থানার ৬৪টি এবং মুজিবনগর থানার ১৭টি সহ সর্বমোট ১২২টি এবং ১০ লক্ষ ১৮ হাজর ৩শত টাকা উদ্ধার করা হয়। এসময় ভুক্তভোগীরা জানান, আমরা অনেকেই মনে করতাম ফোন হারিয়ে গেলে বা টাকা ভুলক্রমে চলে গেলে তা আর পাওয়া যায় না বা ফেরৎ দেয় না। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া ফোন পুলিশের মাধ্যমে আজ ফেরৎ পেয়ে আমাদের ধারণা পাল্টে গেছে। শখের মোবাইল ও টাকা পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। হঠাৎ এসপি অফিস থেকে ফোন করে ডেকে পুলিশ মোবাইল ও টাকা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। এতে আমরা অনেক খুশি।
পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম বলেন, মেহেরপুর জেলায় মোবাইল হারানো জিডি হলে ভুক্তভোগীদের তদবীর বা যোগাযোগ ব্যতিরেকে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সদস্যগণ এ উদ্ধার কাজ করে থাকেন। হারানো, চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ও প্রতারণা বা ভুলক্রমে চলে যাওয়া টাকা ফিরে পাওয়া যায় না এমন ধারণা থেকে বের হয়ে এসে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার আহবান জানান তিনি। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিনুর রহমান খান (প্রশাসন ও অর্থ) আবদুল করিম (সদর সার্কেল) ডিবি পুলিশের ওসি গোপাল কুমারসহ পুলিশের বিভিন্ন শাখার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।