বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আটজন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:০৩

ময়মনসিংহ-৯ আসনে আব্দুস সালাম, বরিশাল-৫ সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, মুন্সীগঞ্জ-২ সোহানা তাহমিনা, টাঙ্গাইল-৬ সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ, মানিকগঞ্জ-২ জসীম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর-২ সেলিনা ইসলাম, রাজশাহী-১ গোলাম রব্বানী ও বগুড়া-৩ আসনে ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ হাইকোর্টে আবেদন করে প্রার্থিতা ফিরে পান।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দাখিল করা মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশন বাতিল ঘোষণা করার আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আটজন।

প্রার্থিতা ফিরে পাওয়াদের মধ্যে ময়মনসিংহ-৯ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম, বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ আলোচিত নাম। তারা সোমবার হাইকোর্টের রায়ে প্রার্থিতা ফিরে পান।

অন্য যে ছয়জন প্রার্থী রোববার হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান তারা হলেন– মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনা, টাঙ্গাইল-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ, মানিকগঞ্জ-২ আসনের তৃণমূল বিএনপির মো. জসীম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম, রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গোলাম রব্বানী ও বগুড়া-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলই থাকে। তবে প্রতীক বরাদ্দের দিন সোমবার পর্যন্ত মোট ৮ প্রার্থী তাদের প্রার্থিতার বৈধতা হাইকোর্ট থেকে বহাল রাখতে পেরেছেন।

হাইকোর্টে কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিলের ফলে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবেন আব্দুস সালাম। সোমবার দুপুরে বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালামের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী ও অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান ভূঁইয়া।

এর আগে ৯ ডিসেম্বর নৌকা মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালামের প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছিলেন আসনটির সংসদ সদস্য ও নৌকাবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল আবেদীন খান।

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) ১৪ ডিসেম্বর আপিল শুনানি শেষে ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালামের প্রার্থিতা বাতিল করে। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে নৌকা মনোনীত প্রার্থীর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার খবরে সোমবার নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে আনন্দ মিছিল করেন তার কর্মী-সমর্থকরা।

দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর মনোনায়নপত্র বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই আদেশ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।

সাদিক আব্দুল্লাহর করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক।

১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানি শেষে বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে ইসি। এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করার পর সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধতা পায়।

অন্যদিকে সোমবার বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের প্রার্থিতার রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে হাইকোর্টেও প্রার্থিতা ফিরে পেলেন না তিনি। দ্বৈত নাগরিত্বের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা থেকে যে প্রার্থিতা হারিয়েছেন শাম্মী আহম্মেদ, তা হাইকোর্টেও বহাল থাকল।

অন্যদিকে এদিন ফরিদপুর-৩ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের করা রিটও খারিজ করে হাইকোর্ট। ফলে দ্বৈত নাগরিত্বের কারণে শামীম হকের বিরুদ্ধে ইসির সিদ্ধান্তই বহাল থাকল।

সোহানা তাহমিনা এবং সৈয়দ মাহমুদ ইলাহর আপিল আবেদন নির্বাচন কমিশনের আপিল ট্রাইব্যুনাল নামঞ্জুর করে ১০ ডিসেম্বর। ইসির এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে তারা হাইকোর্টে আবেদন করেন।

মো. জসীম উদ্দিন এবং মো. ফেরদৌসের প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে করা আবেদন গত ১১ ডিসেম্বর নামঞ্জুর হয়। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে আবেদন করেন তারা।

সেলিনা ইসলামের করা আপিল আবেদন নামঞ্জুর করে ১২ ডিসেম্বর আদেশ দেয় ইসির নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন সেলিনা ইসলাম। আর ১৩ ডিসেম্বর মো. গোলাম রব্বানীর করা আপিল আবেদন নামঞ্জুর করে ইসির আপিল ট্রাইব্যুনাল। তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন গোলাম রব্বানী।

এই ছয়জনের রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের দেয়া আদেশ স্থগিত করে তাদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি রুল জারি করেছে।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষে ৩০০ সংসদীয় আসনে রোববার পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৮৯৬ জন বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ইসি উল্লেখ করে। সারা দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন ৩৪৭ জন প্রার্থী।

তবে হাইকোর্টের রায়ে সোমবার ময়মনসিংহ-৯ আসনে আব্দুস সালাম ও বরিশাল-৫ আসনে সাদিক আব্দুল্লাহ প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৯৮ জন। এবার মোট ২৭টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।

সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা সারা দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছেন। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রার্থীদের এই প্রচারণা চলবে। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

এ বিভাগের আরো খবর