বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কৃষিমন্ত্রী হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেন: রিজভী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৯:৪৬

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রমাণ করে যে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা করে পুলিশি তাণ্ডব-হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে চলমান সহিংসতা, মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার, হুলিয়া, হত্যা, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-তল্লাশি, ভাংচুর, আটক বাণিজ্য সবকিছু পূর্বপরিকল্পিত।’

বিএনপিকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘এতোক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে’র মতো হরষের স্বীকারোক্তি বলে উল্লেখ করেছেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘এই প্রভাবশালী মন্ত্রী হাটে হাঁড়ি ভেঙে স্বীকার করলেন যে দেশের আইন-আদালত, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন সবকিছু সরকারের হাতে বন্দি।’

সোমবার ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পূর্ণ মিথ্যা সাজানো মামলায় জেলে পুরে এবং বাড়িছাড়া করে তাড়িয়ে বেড়ানোর গোমর ফাঁস করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।

রিজভী বলেন, “গতকাল (রোববার) একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন যে সিট ভাগাভাগির উদ্ভট তামাশার নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন ও কণ্টকমুক্ত করার জন্যই বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা চিন্তা-ভাবনা করেই এ কাজ করেছি। তাদেরকে জেলে না ভরলে দেশ অচল হয়ে যেতো। হরতালের দিন গাড়ি চলতো না।’

“ড. আবদুর রাজ্জাক সাহেব আরও বলেছেন, ‘বিএনপিকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল তারা নির্বাচনে আসলে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া হবে। শুধু পিছিয়ে দেয়া নয়; বলা হয়েছে, সবাইকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে। এমনকি এক রাতে সব নেতাকে জেল থেকে মুক্তির প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি রাজি হয়নি।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রমাণ করে যে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা করে পুলিশি তাণ্ডব-হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে চলমান যত সহিংসতা, মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার, হুলিয়া, হত্যা, বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-তল্লাশি, ভাংচুর, আটক বাণিজ্য সবকিছু পূর্বপরিকল্পিত।

‘শেষ পর্যন্ত এই প্রভাবশালী মন্ত্রী হাটে হাঁড়ি ভেঙে স্বীকার করলেন যে দেশের আইন-আদালত, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, কোর্ট কাচারি, বিচার-আচার সবকিছুই এই সরকারের হাতে বন্দি।’ তিনি বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থা আর আওয়ামী লীগ একাকার হয়ে গেছে। দেশে কোনো আইন নেই। সব চলছে শেখ হাসিনার ইশারায়। তার নির্দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেড় লাখ মামলা আর অর্ধ কোটি আসামি করা হয়েছে।

‘সরকারের ব্লু-প্রিন্টে কারাগারে নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। বিচার বিভাগ আইনের গতিতে নয়, চলছে গণভবনের গতিতে। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগকে কার্যত আওয়ামী লীগের একটি ইউনিটে পরিণত করা হয়েছে। স্বাধীন বিচার বিভাগ ও আইনের শাসনের আওয়ামী নমুনা কৃষিমন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট হয়েছে।’

‘ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্যে বাংলাদেশের জনগণ হতভম্ব'

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মুক্তি সংগ্রামের নেতা’- ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের এই বক্তব্য উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘তার এমন মন্তব্যে বাংলাদেশের জনগণ বিস্মিত, হতবাক।’

প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘এম জে আকবরের মতো একজন প্রাজ্ঞ সাংবাদিক ও রাজনীতিক কী করে সবকিছু জেনেশুনেও একনায়কতন্ত্রের পক্ষে, ১৮ কোটি বাংলাদেশির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কথা বলেন।’

এম জে আকবরকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘জনসমর্থনহীন শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকা আপনাদের কী স্বার্থ নিশ্চিত করে? আপনাদের সমর্থনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এদেশে নিষ্ঠুর বর্বরতা চালাচ্ছেন। দখলদার শেখ হাসিনা দীর্ঘ দেড় দশকে বহুমাত্রিক লুটপাটের আধুনিকীকরণ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা ফিলিপিনের ক্যাসিনোতে ঘুরে বেড়ায় শেখ হাসিনার তথাকথিত উন্নয়নের সরকারের বদান্যতায়।

‘আপনার মন্তব্য বাংলাদেশের জনগণকে অবজ্ঞা করার শামিল। এটা কর্তৃত্বসূলভ ও বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছাকে অসম্মান করা। ভারত কি তাহলে বাংলাদেশের জনগণকে উপেক্ষা করে শুধু আওয়ামী লীগকেই বন্ধুত্বের বন্ধনে আঁকড়ে রাখতে চায়?’

এ বিভাগের আরো খবর