বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ভোটার সমর্থন পদ্ধতি স্বতন্ত্রদের নির্বাচনের বাইরে রাখার কৌশল’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:৪৬

নেত্রকোনা-৫ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার মতো একজন মানুষের ১ শতাংশ ভোটার সমর্থন না থাকার অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল করেছে এটা গুরুতর বিষয়। তখন আমার কাছে মনে হয়েছে, এমন পদ্ধতি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য একটা কৌশল।

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন স্বাক্ষর জমার পদ্ধতি বাতিল চেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) নেত্রকোনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন।

বুধবার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল আবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে ভোটার স্বাক্ষর জটিলতায় রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

নেত্রকোনা-৫ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার মতো একজন মানুষের ১ শতাংশ ভোটার সমর্থন না থাকার অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল করেছে এটা গুরুতর বিষয়। তখন আমার কাছে মনে হয়েছে, এমন পদ্ধতি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য একটা কৌশল।

তিনি বলেন, আমাদের কাণ্ডারি জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন; এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ভোটে দাড়াতে পারবেন। এলাকার মানুষ আনন্দিত তারা এবার ভোট দিতে পারবে এবং ভোটে প্রতিযোগিতা হবে। এক শতাংশ ভোটার সমর্থনে যেই অভিযোগে আমার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তখন সাধারণ মানুষ বলছে ষড়যন্ত্র করে একজন ভালো মানুষের মনোনয়ন বাতিল করছে। আমি মনে করি এই আইনটা পরিবর্তন হওয়া উচিত। কেউ যদি না করেন তাহলে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে কাজ করবো।

এর আগে মঙ্গলবার এক শতাংশ ভোটার স্বাক্ষর জটিলতায় ৪২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন।

নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ঘোষণার পর নির্বাচন জমে গিয়েছিল। যখন দেখছে সামান্য কারণে ভালো প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় তখন আর পরিবেশ ভালো থাকে না। মানুষ বলছে কীসের ভোট।

এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে দুই হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তার মধ্যে ১ হাজার ৯৮৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা ও বাকি ৭৩১ জনের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে বাতিল হওয়া প্রার্থিতা কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

এ বিভাগের আরো খবর