চুয়াডাঙ্গায় মাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে মুকুল হোসেনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার আসামির উপস্থিতিতে বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ২৮ বছর বয়সী মুকুল হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের পিরোজখালি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের পিরোজখালি গ্রামের জবেদা খাতুনের সঙ্গে ছেলে মুকুল হোসেনের পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন কলহ চলছিল। এরই জেরে ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর বিকেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবেদা খাতুনকে এলোপাতাড়ি কোপানোয় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আলাউদ্দিন বাদী হয়ে মুকুল হোসেনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ অভিযুক্ত মুকুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর হাসানুজ্জামান ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মুকুল হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা করেন। ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার আসামির উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ ছাড়া ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কোর্ট হাজতে নেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বেলাল হোসেন বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে। এ ধরনের সাজা হলে সমাজে অপরাধ কর্মকাণ্ড কমে আসবে।’