বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্লাবন আতঙ্কে উপকূলবাসী, প্রান্তিক লবণচাষির মাথায় হাত

  • প্রতিনিধি, আনোয়ারা ও বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)   
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১৮:১৩

লবণ চাষি আহমদ আলী বলেন, ‘লবণ চাষের উপকরণ, ডিজেল কেনা ও জমির লাগিয়ত মিলে অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। লবণ আমদানির খবরে এমনিতেই আমরা উদ্বিগ্ন, তার উপর হাজির হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। এখন সবকিছু আল্লাহর হাতে। তিনি বাঁচালেই বাঁচব।’

সাম্প্রতিক সময়ের ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর কারণে লণ্ডভণ্ড হয়েছিল চট্টগ্রামের বাঁশখালী। বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ছিন্ন ভিন্ন হয়ে প্রায় ২০ দিনের বেশি ছিল বিদ্যুৎহীন। সে সময় গৃহহীন হয়েছে হাজার হাজার উপজেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবজির উৎপাদন ক্ষেত্র হিসাবে খ্যাত বাঁশখালীর নিম্ন আয়ের মানুষের সবজি খেত, পানের বরজ নষ্ট হয়ে যায়। আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল কোটি টাকার। সেই ক্ষত না শুকাতেই এবার ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’-এর আঘাত।

মিধিলি আসায় এবার আতঙ্কে চোখেমুখে রাজ্যের অন্ধকার দেখছে উপকূলবাসী। বাঁশখালী উপজেলার মানুষের মনে ভর করেছে চরম ভীতি।

মিধিলির প্রভাবে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় অঞ্চলসমূহে। অসময়ের এ বৃষ্টি প্রান্তিক লবণচাষিদের কপালে ডেকে নিয়ে এসেছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা।

বাঁশখালীর উপকূলীয় ইউনিয়ন সরল, ছনুয়া ও গন্ডামারায় লবণের চাষ বেশি হয়। এসব এলাকায় ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা পলিথিন দিয়ে শেষ রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ভোরে আকস্মিক বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বেশিরভাগ চাষিদের স্তুপ করে রাখা লবণ।

এদিকে বাঁশখালীর ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা ও প্রস্তুত কমিটির উদ্যোগে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় তাদের পক্ষ থেকে মাইকিং করতেও দেখা গেছে। তবে প্রতিবেদন লেখা অবধি কাউকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে দেখা যায়নি।

ছনুয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লবণের মৌসুমের শুরুর দিকে অপ্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি করেছে।

এ ব্যাপারে খুদুকখালী গ্রামের চাষি আহমদ আলী বলেন, ‘লবণ চাষের উপকরণ, ডিজেল কেনা ও জমির লাগিয়ত মিলে অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। লবণ আমদানির খবরে এমনিতেই আমরা উদ্বিগ্ন, তার উপর হাজির হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। এখন সবকিছু আল্লাহর হাতে। তিনি বাঁচালেই বাঁচব।’

এদিকে শেখেরখীল ইউনিয়নের ফাঁড়ির মুখ এলাকায় সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলারগুলো অলসভাবে নোঙর করে থাকতে দেখা গেছে। জেলেরা পার করছেন অলস সময়।

অন্যদিকে ভঙ্গুর বেড়িবাঁধ নিয়ে আতঙ্কে সময় অতিবাহিত করছে খানখানাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দারা। জলকদর খালের সঙ্গে সংযুক্ত ইউনিয়ন ও গ্রাম শেখেরখীল, চাম্বল ডেপুটিঘোনা ও শীলকূপের মনকিচর এলাকার বেড়িবাঁধ খুব সরু হওয়ায় সেসব এলাকার বাসিন্দারাও আছে আতঙ্কে। বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় সময় কাটছে তাদের।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর