বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাইবান্ধায় ওসি-এসআইসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে সিজু হত্যা মামলা

  • গাইবান্ধা প্রতিনিধি   
  • ২১ আগস্ট, ২০২৫ ২০:৪০

গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় ঢুকে পুলিশকে ছুরিকাঘাতকারী যুবক সিজু মিয়ার পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে (সাঘাটা) মামলার আবেদনটি করেন নিহত সিজুর মা রিক্তা বেগম। আদালতের বিচারক পাঁপড়ি বড়ুয়া তা আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। যেখানে আগামী ৬০ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আল আসাদ ।

মামলায় সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি-এসআইসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যার মধ্যে নামীয় ১৫ জন এবং অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে ৪ থেকে ৫ জনকে।

নামীয় আসামীরা হলেন, সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম, এএসআই রাকিবুল ইসলাম, এএসআই মশিউর, এএসআই মহসিন আলী সরকার, এএসআই আহসান হাবিব, এএসআই উজ্জল, এএসআই লিটন মিয়া (ডিউটি অফিসার)। এছাড়া পুলিশ সদস্য হামিদুল ইসলাম, আজাদুল ইসলাম, নয়ন চন্দ্র, জয় চন্দ্র, ধর্মচন্দ্র বর্মণ এবং স্থানীয় যুবক সাব্বির হোসেন, ইউসুফ আলী ও মমিনুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ জুলাই বিকেলে গাইবান্ধা সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বর থেকে সিজুকে সাঘাটা থানায় ডেকে নেয় পুলিশ। থানায় নির্যাতনের পর মৃতপ্রায় সিজুকে থানা সংলগ্ন পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। পরে পুকুরে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনা ভিন্নভাবে উপস্থাপনের জন্য পরদিন সকালে ওই পুকুর থেকেই সিজুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সিজু মিয়া (২৫) গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের বাগুরিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। সিজু ডিগ্রী ২য় বর্ষের কলেজ ছাত্র ছিলেন ৷ একই সাথে গিদারি ইউনিয়ন ছাত্র শিবিরের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্বপালন করছিলেন।

উল্লেখ্য, এর আগে ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় ঢুকে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মহসিন আলীর মাথা ও হাতে ছুরিকাঘাত করে এই যুবক। একই সাথে রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে দৌঁড়ে থানার পেছনে থাকা সাঘাটা হাই স্কুলের পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গভীর রাত পর্যন্ত ওই পুকুর এবং আশাপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। কিন্তু পরদিন সকালেই ওই পুকুর থেকেই অজ্ঞাতনামা যুবক হিসেবে সিজুর মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর থেকে আসা ডুবুরী দল।

একই দিন থানা চত্বরে সিজু মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানায় পুলিশ। পরে ওই পুকুরে সিজুকে লাঠি দিয়ে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সিজুর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি, সেটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন সিজুর স্বজন ও স্থানীয়রা। এতে অংশ নেন গাইবান্ধা জেলা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরাও।

পরে একই ঘটনায় (২৯ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে রংপুর থেকে ঘটনা তদন্তে আসে রংপুর রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ম্যানেজম্যান্ট) মোছাঃ রুনা লায়না ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শরিফুল ইসলামসহ পুলিশের গঠিত তিন সদস্যের তদন্তদল।

এ বিভাগের আরো খবর