বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির দলছুটরা ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’-এ, ভোটে যাওয়ার ঘোষণা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২৩ ২০:৩২

বিএনপির বর্তমান ও সাবেক ১২৫ নেতার নেতৃত্বে গঠিত ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’-এর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার আহসান হাবিব। আরেক সদস্য ব্যারিস্টার এ কে এম ফখরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির বর্তমান ও সাবেক ১২৫ নেতার নেতৃত্বে গঠিত ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে।

বুধবার রাজধানীর মালিবাগে স্কাই সিটি হোটেল লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার আহসান হাবিব। বিএনপির নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার এ কে এম ফখরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’-এর ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের পর ওই দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খন্দকার আহসান হাবিব।। তিনি টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন। আর এ কে এম ফখরুল ইসলাম ঝালকাঠি-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানানো হয়।

এছাড়া হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ২০০১-০৪ মেয়াদের সাবেক ট্রাস্টি স্বপন সরকার রাজবাড়ী-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি টাঙ্গাইল সা’দত কলেজের সাবেক ভিপি মনিরুল ইসলাম মিন্টু টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানানো হয়। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবি জানান খন্দকার আহসান হাবিব।

বিএনপির অন্যতম নেতা হয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণায় সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির গঠনতন্ত্রে এমন কোনো দিকনির্দেশনা আছে বলে আমার জানা নেই। আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও কোনো নিবন্ধিত দল বা জোটের সঙ্গে আমরা অংশীদার হচ্ছি না।’

লিখিত বক্তব্যে আহসান হাবিব বলেন, ‘সংসদীয় নির্বাচন গণতন্ত্র সুরক্ষার একটি উপাদান। বাংলাদেশের সংবিধানের বাধ্যবাধকতায় প্রতি ৫ বছর পর পর সংসদীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধিদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা দেয়।

‘একাদশ সংসদের মেয়াদ আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে। সংবিধানের বিধান অনুসারে, ২৯ জানুয়ারির পূর্বেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হতে হবে। তা না হলে সংবিধান ভঙ্গের অভিযোগ ‌উঠবে। ক্ষমতার পরিবর্তন একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব, অন্য কোনো উপায় সংবিধানে লিপিবদ্ধ নেই।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সংসদ নির্বাচন করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব উপেক্ষা করার কোনো উপায় নেই।

‘নির্বাচন বর্জন একটি দলের অধিকার হতে পারে না। আর নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য আন্দোলনের ডাক দেয়া অনৈতিক এবং সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করার শামিল। কারণ নির্বাচন প্রতিহত করতে যে শক্তির প্রয়োজন তাতে ধ্বংসাত্মক দিক ফুটে ওঠে।

‘পরিস্থিতি যেরকম হোক না কেন নির্বাচন প্রতিহত করার কোনো আন্দোলনের ডাক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অন্তরায়। আমরা মনে করি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।’

খন্দকার আহসান হাবিব বলেন, ‘আমরা জানি নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করা কমিশনের দায়িত্ব। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।

‘সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে না পারলে একদিন না একদিন জনতার কাঠগড়ায় এই কমিশনকে দাঁড়াতে হবে। সেদিন জনতার আদালতেই তাদের বিচার হবে।’

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা (সদ্য বহিষ্কৃত) বলেন, ‘খালেদা জিয়ার প্রতি নির্মম আচরণের কারণে আমাদের অন্তরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাকে বিদেশে চিকিৎসা দিতে জাতিসংঘ বর্তমান সরকারকে অনুরোধ করেছে।

‘খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি। আমরা মনে করি, বর্তমান সরকার তা বিবেচনা করবে। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর