বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নামে নাটক বন্ধ করুন: বিএনপি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ ২১:৫৪

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আগুন-সন্ত্রাস, ধ্বংসযজ্ঞ, গুম-খুন-ভাংচুর, সহিংসতার আঁতুড়ঘর আওয়ামী লীগ। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ করতে দলীয় ও রাষ্ট্রশক্তিকে দিয়ে সন্ত্রাস-নাশকতা চালানো হচ্ছে, যা দৃশ্যমান। অগ্নি-সন্ত্রাস শব্দটিকে ব্যবহার করে বিএনপির ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নামে বর্তমান ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘নাটক’ বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। দলটি একইসঙ্গে তফসিল ঘোষণার আগেই বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়েছে।

মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে এ কথা বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একইসঙ্গে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিরোধী দলের দাবি মেনে নিয়ে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণের দাবি উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচন করতে সরকার পাগল হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা তার অধীনস্ত নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে অবৈধভাবে তফসিল ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।’

সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিলের নামে এই নাটক বন্ধ করতে আমরা কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করতে চাই। আগে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। নইলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।’

রিজভী বলেন, ‘বর্তমান ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণ বাংলাদেশের মাটিতে কোনো প্রহসনমূলক ও নাটকীয় নির্বাচন হতে দেবে না।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করে। কারণ দলটি কখনোই সামাজিক সম্প্রীতি বা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।

‘তাই তারা তাদের প্রতিপক্ষকে আক্রমণাত্মক ও অশালীন ভাষায় আক্রমণ করে এবং বিভিন্নভাবে দমন করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ কখনোই মনে করে না যে, এই জবরদস্তিমূলক দুঃশাসন যে কোনো মুহূর্তে উৎখাত হতে পারে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মিলিত বিবেকবোধের (Collective Conscience) চাপ বোধ করেন না বলে জ্যান্ত মানুষ ধরে আগুনে নিক্ষেপ করতে সন্ত্রাসী ভাষায় হুকুম দিচ্ছেন। গত কয়েক দিন ধরে তার এই সহিংস হুংকারে গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষ চরম আতঙ্কে।’

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে আগুন-সন্ত্রাস, ধ্বংসযজ্ঞ, গুম-খুন-ভাংচুর, সহিংসতার আঁতুড়ঘর আওয়ামী লীগ। আওয়ামী দুঃশাসনে পিষ্ট প্রতিবাদী মানুষকে নিশ্চিহ্ন এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ করতে দলীয় ও রাষ্ট্রশক্তিকে দিয়ে সন্ত্রাস-নাশকতা চালানো হচ্ছে।

‘অগ্নি-সন্ত্রাস শব্দটিকে ব্যবহার করে বিএনপির ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। অবরাধ করে তারা, আর চাপিয়ে দেয় বিএনপির লোকজনের ওপর। বিএনপি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে।’

রিজভী বলেন, ‘কেবল বাংলাদেশ নয়; এখন গোটা পৃথিবীবাসী জানে যে আগুন দিয়ে গাড়ি পোড়ানো, সহিংসতা, গানপাউডার দিয়ে, লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আওয়ামী লীগ।

‘এবারও এক দফার সংগ্রাম বানচাল করতে পুলিশ প্রটেকশনে আগুন-সন্ত্রাসে আওয়ামী ক্যাডারদের অংশগ্রহণ দৃশ্যমান; যেমনটা তারা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা গুলি খাচ্ছে, রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতন ভোগ করছে।

‘প্রায় প্রতিটি আগুন-সন্ত্রাসের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্রশক্তির সংশ্লিষ্টতার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। কোনোটি প্রকাশ পাচ্ছে, আবার কোনোটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকা দিচ্ছে।’

বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে নামার আহ্বান জানান রিজভী।

তিনি বলেন, ‘এই অবরোধ গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য। দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার গণতান্ত্রিক সংগ্রামের একটি অংশ এই অবরোধ। আসুন, আমরা সবাই এই অবরোধ সফল করি।’

তিনি দাবি করেন, বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর জন্য অগ্নিসংযোগে লিপ্ত রয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির ৪২০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।

এ বিভাগের আরো খবর