চট্টগ্রামের বিখ্যাত নদী কর্ণফুলীর দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের নামের তালিকা করে তা জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
সিএস ও আরএস অনুযায়ী জরিপ অনুসারে, অবৈধ এ দখলকারীদের তালিকা করে তা জমা করতে বলেছে আদালত।
একই সঙ্গে এ নদীর দক্ষিণ ও পূর্বপাশের জায়গা দখল করে মাটি ভরাট বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
কর্ণফুলী নদীর অবৈধ দখল নিয়ে জনস্বার্থে রিট করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নদীর মূল সীমানা সিএস/আরএস দাগ অনুসারে বিশেষ টিমের মাধ্যমে জরিপ করে অবৈধ দখলকারীদের নামের তালিকা তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে নদীর সীমানায় মাটি ভরাট বন্ধ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
পরিকল্পনা সচিব, পরিবেশ সচিব, ভূমি সচিব, অর্থ সচিব, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘প্রশাসনের চোখের সামনে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে অবৈধ কাজ হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এ কাজের জন্য নদীর মূল প্রশস্ততা অনেক কমিয়ে অবৈধ দখলকারীদের সুযোগ করে দিয়েছে যা আইন পরিপন্থি।’
গত ১২ নভেম্বর ‘কর্ণফুলী নদী দখল করে তৈরি হচ্ছে ড্রাই ডক’ এই শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবি রিট করে।