মানিকগঞ্জে এক নারীকে হত্যার দায়ে তার মেয়েকে যাবজীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত, একই সঙ্গে তার দুই বন্ধুকে মৃত্যুদণ্ড ও এক বন্ধুকে যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে।
আসামিদের উপস্থিতে বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি নুর বক্সকে খালাস দেয়া হয়েছে।
প্রাণ হারানো ৪৫ বছর বয়সী মাহমুদা আক্তার মানিকগঞ্জ সদরের দক্ষিণ সেওতার স্টেডিয়াম এলাকার জহিরুল ইসলামের স্ত্রী।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের আড়াকুল এলাকার রাকিব হোসেন ও নীলফামারীর জলঢাকা এলাকার পূর্ব গোলমুন্ডার মাহাফুজার রহমান।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের আড়াকুল এলাকার শফিউর রহমান নাঈম ও মানিকগঞ্জ সদরের দক্ষিণ সেওতা এলাকার জুলেখা আক্তার জ্যোতি।
এজাহারপত্রে জানা যায়, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা দেয়ায় ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি সকালে প্রেমিকসহ বন্ধুদের ডেকে মা মাহমুদা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মেয়ে জুলেখা আক্তার জ্যোতি। পরে এ ঘটনায় নিহতের স্বামী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন।
এরপর মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাকিব হোসেন, মাহাফুজার রহমান, শফিউর রহমান নাঈম ও জুলেখা আক্তার জ্যোতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম আল মামুন তদন্ত শেষে ওই চারজনকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ৩১ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি আব্দুস সালাম জানান, মাহমুদা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে মামলার অপর দুই আসমিকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তিনি এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুর হক আকবর উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানিয়েছেন।