পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল রোববার সকাল ছয়টায় খুলে দেয়া হয়।
সকাল থেকে এক ঘণ্টায় গাড়ি পার হয়েছে ৭২টি। সকাল আটটা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় পার হয়েছে ১২১টি গাড়ি। ওই সময় ১২১টি গাড়ি থেকে ৩০ হাজার ৫০০ টাকার টোল আদায় হয়।
দুই প্রান্তে আরও কয়েক শ গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশীদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, টানেল পারাপারের জন্য টোল নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
সেতু বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, জিপ বা পিকআপের জন্য ২০০ টাকা এবং মাইক্রোবাসের জন্য টোল ২৫০ টাকা।
বাসের ৩১ আসন বা এর কম হলে টোল ৩০০ টাকা, ৩২ আসন বা তার বেশি হলে ৪০০ টাকা এবং ৩-এক্সেল বাসের জন্য টোল ৫০০ টাকা।
ট্রাক-৫ টন পর্যন্ত ৪০০ টাকা, আট টন পর্যন্ত ৫০০ টাকা এবং আট থেকে ১১ টনের ট্রাকের টোল ৬০০ টাকা।
মালবাহী-৩ এক্সেল ট্রেলারের টোল ৮০০ টাকা, ৪ এক্সেল ট্রেলারে এক হাজার টাকা এবং ৪ এক্সেলের বেশি প্রতি এক্সেলের জন্য এক হাজারের সঙ্গে ২০০ টাকা যোগ করে টোল দিতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
টানেল প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ) আবুল কালাম আজাদ জানান, টোল আদায়ের জন্য ১২টি বুথ আছে। প্রথম দিন ১০টি চালু করা হয়েছে। এখানে তিনভাবে টোল দেয়ার সুযোগ আছে। তবে বর্তমানে ম্যানুয়ালি টোল আদায় করা হচ্ছে।
এ টানেলের প্রথম যাত্রী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা প্রান্তে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফলক উন্মোচনের মধ্যে দিয়ে টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর নিজ হাতে টোল দিয়ে টানেল পার হয়ে আনোয়ারা প্রান্তে আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন তিনি।