বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাগবাটির জলপাইয়ের হাটে দৈনিক বেচাকেনা ৪ লাখ টাকা

  •    
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১৭:১০

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, অর্থকারী ফসলের পাশাপাশি পেয়ারা, মাল্টা, কমলা, জাম্বুরা এবং জলপাই চাষে আশাতীত সাফল্য থাকায় চাষিদের এসব ফল চাষে কৃষি বিভাগের তদারকি বাড়ানো হয়েছে।’

মৌসুম জুড়ে সিরাজগঞ্জের বাগবাটিতে জলপাইয়ের হাট সরগরম থাকে। প্রতিদিন এই হাটে গড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার জলপাই কেনাবেচা হচ্ছে। বাগান থেকে জলপাই সংগ্রহ করে আড়ৎদারের কাছে বিক্রি করেই জীবিকা চলছে এলাকার শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও চাষিদের।

এদিকে, সদর উপজেলার বাগবাটি জলপাই হাট থেকে আমদানি করা জলপাই চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। মান ও গুনের কারণে চাহিদা থাকায় ভালো দামও পাচ্ছেন চাষিরা। চাহিদা এবং লাভজনক হবার কারণে প্রতি বছর জলপাই বাগানের পরিধিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার সরেজমিনে পিপুলবাড়িয়া বাজার, সীমান্ত বাজার ও রতনকান্দি হাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা স্থানীয়দের কাছ থেকে জলপাই ক্রয় করছে। সেই জলপাইগুলো কেউ পানি দিয়ে পরিস্কার করছে আবার কেউ বস্তায় ভরে ট্রাকে তুলছেন কিনে নেয়া জলপাই।

মৌসুম আসার আগেই বাগান মালিকদের জামানত দিয়ে বাগান কিনে নেয় বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা। ফল পরিপক্ব হলে বাগান থেকে ফল তুলে নিয়ে আড়তে যায় তারা। ফলে কোনো বিড়ম্বনাই থাকছে না এলাকার চাষি-ব্যবসায়ীদের মধ্যে। প্রতি কেজি জলপাই প্রকারভেদে ১৫ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হাটে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার জলপাই দৈনিক কেনাবেচা হয় বলে জানান স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীরা।

হাটে জলপাই বিক্রি করতে আসা উপজেলার ঘোড়াচরা গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাড়ির আঙিনায় লাগানো গাছ বিক্রি থেকে একদিন দুই মণ করে জলপাই এ হাটে এনে বিক্রি করি। প্রতিদিন জলপাই হাট ছাড়াও রোববার ও বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক এই হাট বসে।

ব্যবসায়ী মজিদ বলেন, ‘এ মৌসুমে ২০ জন মিলে প্রায় ২৫ লাখ টাকার জলপাই বাগান কিনেছি। পরিবেশ ভালো থাকলে প্রতি বাগান থেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার জলপাই বিক্রির আশা করছি।

আমিনপুর গ্রামের জলপাই বাগানের মালিক আবদুল করিম বলেন, ‘হাটে গড়ে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার জলপাই বিক্রি হয়। প্রকারভেদে প্রতি কেজি জলপাইয়ের দাম থাকে ১৫ থেকে ৩৫ টাকা পরে প্রতি কেজিতে। এখানে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ২৫ থেকে ৩০ টন জলপাই বেচাকেনা হয়।’

স্থানীয় চর-খাতা গ্রামের শামমুল মন্ডল জানান, বাগবাটি ইউপিতে জলপাইয়ের ছোট-বড় অনেক বাগান আছে। আরও নতুন নতুন বাগান গড়ে উঠছে এ ব্যবসার সাফল্য দেখে। জলপাইয়ের ভালো দাম পাওয়ার কারণে চাষিদের মধ্যে বাগান করার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এই এলাকার জলপাইয়ের আকার ও স্বাদে ভালো হওয়ার কারণে বাজারে এর চাহিদা অনেক। এ হাটে জলপাই বিক্রি হয় সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত।’

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, ‘জলপাইয়ের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। এ বছর সদর উপজেলাতে ৩১ হেক্টর জমিতে জলপাই চাষবাদ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে ৯১০ টন।’

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, অর্থকারী ফসলের পাশাপাশি পেয়ারা, মাল্টা, কমলা, জাম্বুরা এবং জলপাই চাষে আশাতীত সাফল্য থাকায় চাষিদের এসব ফল চাষে কৃষি বিভাগের তদারকি বাড়ানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর