ফেনীতে ঘরের দরজা রশি দিয়ে বেঁধে দুই শিশুকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার রাতে ফেনীর ছাগলনাইয়া থানার পূর্ব মধুগ্রাম ও মধ্যম বিরিঞ্চি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন ছাগলনাইয়া থানার পশ্চিম মধুগ্রাম এলাকার ৪৫ বছর বয়সী আবদুল আজিম ও মধ্যম বিরিঞ্চি এলাকার ৪০ বছর বয়সী মায়া বেগম।
র্যাব জানায়, ছাগলনাইয়া থানার মধ্যম বিরিঞ্চি ফকির বাড়ি এলাকায় স্থানীয় শহিদুল ইসলাম রনির সঙ্গে আনোয়ারের (প্রতিবেশী) জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে গত ৩০ সেপ্টেম্বর শহিদুলের দখল করা কবরস্থানে আনোয়ারের এক স্বজনকে দাফন করা নিয়ে দুই পক্ষের ঝগড়া হয়। সে সময় আনোয়ার শহিদুলকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
পরে ৩ অক্টোবর রাত ২টার দিকে শহিদুলের বসত ঘরের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভেতরে পেট্রল ছিটিয়ে আগুন দেয় আসামিরা। এ সময় শহিদুলের ঘরের দরজা বাইরে থেকে রশি দিয়ে বেঁধে দেয় যেন শহিদুলের পরিবারের লোকজন বের হতে না পারে।
আগুনে ঘরের একটি কক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় শহিদুলের দুই ছেলে ১৩ বছরের মাহিদুল ইসলাম শাহাদাত ও ৬ বছরের তানজিদুল ইসলাম গোলাপ দগ্ধ হয়ে মারা যায়। আগুনে শহিদুল এবং তার স্ত্রীও দগ্ধ হন।
এই ঘটনায় নিহত দুই শিশুর বাবা শাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৩ জনকে এজহারনামীয় ও ৪ থেকে ৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার বলেন, ‘মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র্যাব। এক পর্যায়ে গোপন সংবাদে এজহারনামীয় প্রধান আসামি আবদুল আজিমকে ছাগলনাইয়ার পূর্ব মধুগ্রাম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরেক আসামি মায়া বেগমকে মধ্যম বিরিঞ্চি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি জানান, গ্রেপ্তার দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুইজনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।