বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নাকচ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১ অক্টোবর, ২০২৩ ১৬:৫২

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আজকের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে দেশে আইনের শাসন নেই। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভয়ংকর তামাশা করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় স্পষ্ঠভাবে বলা আছে সরকার চাইলেই তাকে মুক্তি দিতে পারে।’

চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাইয়ের করা আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের সাড়া না দেয়াকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

রোববার গণমাধ্যমে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় এমন মন্তব্য করেছেন বেগম জিয়ার এ আইনজীবী।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আজকের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে দেশে আইনের শাসন নেই। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভয়ংকর তামাশা করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় স্পষ্ঠভাবে বলা আছে সরকার চাইলেই তাকে মুক্তি দিতে পারে।’

এর আগে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী জানান, আইনের ৪০১ ধারায় কোনো দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়, সেই নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো অবকাশ আর আইনে থাকে না।

এ বিষয়ে কায়সার কামাল বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদিও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে রাজবন্দিদের মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করানোর নজির আছে। কিন্তু আমরা দেখলাম, রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

এ সিদ্ধান্তকে ‘জাতির প্রতি একটি নিকৃষ্টতম প্রতারণা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রী পাবলিক স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছিলেন, যদি খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়, সেটা সুবিবেচনা করা হবে। তার এই পাবলিক স্টেটমেন্টের প্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার গত ২৫ সেপ্টেম্বর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদনটি আইনগতভাবে বিবেচনা না করে রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। আজকের এ সিদ্ধান্তের মধ্যে আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফলাফল দেখতে পাচ্ছি।’

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি ছিলেন। এরমধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের আবেদনে সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে সাময়িক সময়ের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। এরপর খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশান এভিনিউয়ের নিজের বাসভবন ফিরোজায় যান। সাজা স্থগিতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফের মেয়াদ কয়েকবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর মেয়াদ বাড়ানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর