মাদারীপুর সদর উপজেলায় একটি কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শিশু-বৃদ্ধাসহ ৬০ জন। আহতরা মাদারীপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
উপজেলার হোগলপাতিয়া ও পাশের কালকিনির আলীনগর ইউনিয়ের কয়েকটি গ্রামে রোববার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানায়, কুকুরটিকে ধরা করা যায়নি। সদর ও কালকিনি থানা পুলিশও কুকুরটি ধরতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে হাসপাতাল সূত্র জানায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার হোগলপাতিয়া গ্রামের রাস্তা দিয়ে মারিয়া নামে একটি শিশু সকাল ৮টার দিকে স্কুলে যাচ্ছিল। ওই সময় একটি কুকুর শিশুকে কামড়িয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে, আরও কয়েকজনকে কামড়ায় কুকুরটি। এরপর পার্শ্ববর্তী আলীনগর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ, ফাঁসিয়াতলা গ্রামের প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষকে কামড়িয়ে গুরুতর জখম করে সে।
কুকুরের কামড়ে আহত ৪৩ জনকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে কয়েকজনের পায়ে গুরুতর জখম হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কুকুরটিকে ধাওয়া দিলে ঘটনার পর থেকে আর পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে সদর ও কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে কুকুরটি ধরার চেষ্টা করে।
কুকুরে কামড়ে আহত শামীম বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি পাগলা কুকুর আমিসহ আশেপাশের আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে কামড়ায়। যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই কামড়িয়েছে। কামড় দিয়ে পায়ের মাংস ছিড়ে নিয়ে গেছে।’
হাবিব নামে আরেকজন বলেন, ‘পাগলা কুকুর সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই কামড়িয়েছে। কোনোভাবেই তাকে ঠেকানো যায়নি। হোগলপাতিয়া ছাড়াও ফাসিয়াতলা, কালীগঞ্জ এলাকার প্রায় অর্ধশত মানুষকে কামড়িয়েছে। একটি কুকুরের কাছে আমরা অসহায় ছিলাম। তারপর আর কুকুরটি পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল ভরে গেছে কুকুরে কামড়ানোর রোগীতে।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার রিয়াজ মাহমুদ বলেন, ‘কুকুরে কামড়ানো আহত অর্ধশত ব্যক্তি এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ৪৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। কুকুরের কামড়ানোর ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে সবাইকে।’
তিনি জানান, রোগীদের মধ্যে কয়েকটি শিশুর অবস্থা খুবই খারাপ।
সদর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘খোঁজ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে কুকুরটিকে পাওয়া যায়নি। তারপরও সেটিকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।’